নির্বাচন, সংস্কার, চলমান বিচারপ্রক্রিয়া সম্পন্নকরণ এবং একটি স্বাধীন ও ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনের দাবিতে সরব হয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ দেলাওয়ার হোসেন।
তিনি বলেছেন, ‘সংস্কার ছাড়া নির্বাচন দিলে সেই নির্বাচন মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না।’
রবিবার (৮ জুন) জামালপুর ইউনিয়নের শিবগঞ্জ বাজারে এক পথসভায় তিনি এ কথা বলেন। এ সময় শিবগঞ্জ বাজার থেকে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা বের করা হয়, যেখানে জামায়াতের অন্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
দেলাওয়ার হোসেন বলেন, “দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে ‘ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকার’ রাষ্ট্রের প্রতিটি সেক্টরকে ধ্বংস করেছে, বিশেষ করে নির্বাচনব্যবস্থাকে। তার দাবি, এই ব্যবস্থার মাধ্যমেই ‘দিনের ভোট রাতে’ দেওয়া হয়েছে।”
জামায়াতের এই নেতা বলেন, ‘আমরা এমন একটি পরিবেশ চাই, যে পরিবেশে মানুষ স্বাধীনভাবে তাদের নেতা নির্বাচন করতে পারবে। তাদের মতবাদ দিয়ে তাদের নেতাকে তারা নির্বাচন করতে পারবে, এই ধরনের একটি সংস্কার আমরা চাই।
সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হবে না।’
দেলাওয়ার হোসেন বিগত ১৬ বছরের রাজনৈতিক আন্দোলনের কথা স্মরণ করে বলেন, ওই সময় অনেক নেতাকর্মী শাহাদাত বরণ করেছেন, আহত হয়েছেন এবং পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। যারা দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন, তাদের হত্যার বিচার করতে হবে। বিচার না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন হলে, বিচারের আগেই যদি নির্বাচন হয়ে যায়, তাহলে এই বিচারপ্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে।
মৌলিক সংস্কার ও শেখ হাসিনার বিচার দাবি করে দেলাওয়ার বলেন, ‘আমরা দৃশ্যমান বিচার ও রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার দেখতে চাই। তারপর যে নির্বাচনটা হবে, সেটি গ্রহণযোগ্য হবে। এ দেশের আপামর জনতা স্বতঃস্ফূর্তভাবে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিয়ে তাদের নেতা নির্বাচন করে আগামী দিনের একটি শক্তিশালী রাষ্ট্রকাঠামো তারা তৈরি করবে, ইনশাআল্লাহ।’
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন দেবেন, তার আগে বছরখানেকের মতো সময় আছে, এই সময়ের ভেতরে আপনারা মৌলিক সংস্কারগুলো শেষ করবেন, ইনশাআল্লাহ। এ দেশের মানুষ যখন দেখবে শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় হয়েছে, তার ফাঁসির মঞ্চ রচনা হয়েছে, সেদিন এ দেশের মানুষ শান্তি পাবে, স্বস্তি পাবে এবং তারা মনে করবে এবার আমাদের কাঙ্ক্ষিত রাষ্ট্র আমরা গঠন করতে যাচ্ছি।’
তিনি ক্ষুধামুক্ত, চাঁদাবাজমুক্ত, টেন্ডারবাজমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত, উন্নয়নশীল এবং নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
আরএম