বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান কর্নেল ড. অলি আহমেদ বলেছেন, “আজকের বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি খাত গার্মেন্টস শিল্পের ভিত্তি প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানই গড়ে দিয়েছিলেন।”
শনিবার এক বক্তব্যে তিনি বলেন, “গার্মেন্টস খাতের ধারণা তিনি শ্রীলঙ্কা ও রোমানিয়া থেকে গ্রহণ করেন। রোমানিয়ার একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে প্রায় এক লাখ কর্মচারী দেখে তিনি অনুপ্রাণিত হন এবং ওখান থেকে দুইটি সাফারি স্যুট তৈরির অর্ডারও দিয়ে আসেন ক্যাশ পেমেন্টে।”
অলি আহমেদ আরও বলেন, “প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সময়েই এই শিল্পের গোড়াপত্তন হয়, যা আজ দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে।”
তিনি বলেন, “শুধু গার্মেন্টস নয়, কৃষিক্ষেত্রেও তিনি যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছেন। যেহেতু বাংলাদেশ একটি ভাটির দেশ, তাই চীন, নেপাল, ভুটান ও ভারত থেকে অতিরিক্ত পানি আমাদের দেশে এসে পড়ে। এসব পানি ধারণ ও ব্যবহার উপযোগী করতে খাল খননের উদ্যোগ নেন জিয়া।”
“খাল খননের ফলে তিনটি বড় উপকার হয়,” বলেন অলি আহমেদ। “প্রথমত, বন্যার সময় অতিরিক্ত পানি ধারণে সক্ষমতা বাড়ে, ফলে বন্যার ক্ষতি কমে। দ্বিতীয়ত, খালে মাছ চাষের সুযোগ তৈরি হয়। আর তৃতীয়ত, শুষ্ক মৌসুমে কৃষকেরা সেই পানি ব্যবহার করে ইরি ধানসহ নানা ফসলের চাষ করতে পারেন।”
তিনি জানান, কুমিল্লায় আখতার হামিদ খান ক্ষুদ্র আকারে ইরি চাষ শুরু করেছিলেন, কিন্তু প্রেসিডেন্ট জিয়ার সময় তা দেশজুড়ে বিস্তৃত হয়।
উত্তরবঙ্গে গম চাষ এবং কুষ্টিয়া-যশোর এলাকায় তুলা চাষের প্রসারেও জিয়াউর রহমান উদ্যোগী ভূমিকা রাখেন বলে জানান এলডিপি চেয়ারম্যান।
অলি আহমেদ বলেন, “শিল্প খাতে উৎপাদন বাড়াতে জিয়া নানা পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। তিনি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে শিল্পায়নের পথ খুঁজে বের করেছিলেন। কারণ, শিল্প না হলে কর্মসংস্থান বাড়বে না, আর কর্মসংস্থান না হলে অর্থনৈতিক অগ্রগতিও সম্ভব নয়।”
তিনি বলেন, “আজ বাংলাদেশের যে শিল্প ও রপ্তানি খাত দৃঢ় অবস্থানে পৌঁছেছে, তার ভিত্তিপ্রস্তর প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানই স্থাপন করেছিলেন।”
আরএম