বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, ‘গত ১০ বছরের মধ্যে এবারই সবচেয়ে বেশি দামে চামড়া বিক্রি হয়েছে। আগামী বছর আরো দাম বাড়বে বলে আমরা আশা করছি। এ জন্য সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতির প্রসারের জন্য বাণিজ্য সম্প্রসারণে মনোযোগ দিতে হবে।
অথচ সেই ইতিবাচক দিকটি তুলে ধরা হচ্ছে না। চামড়া নিয়ে দেশে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত একটি অপপ্রচার চালানো হচ্ছে্।’
মঙ্গলবার (১০ জুন) দুপুরে নাটোরের চকবৈদ্যনাথ এলাকায় চামড়া ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময়সভায় বাণিজ্য উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘চট্টগ্রামে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা ৬২০টি চামড়া পচিয়ে ফেলেছে—এটি নিয়ে সারা দেশে তোলপাড় হলেও ঢাকায় একটি চামড়াও পচেনি।
কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা দিয়ে পুরো বাজার নিয়ে নেতিবাচক তথ্য ছড়ানো হচ্ছে, যা সত্যি নয়।’
তিনি আরো বলেন, ‘সরকার বিসিকের মাধ্যমে ট্যানারি মালিকদের তিন ধরনের লবণের নমুনা দিয়েছে। তারা পরীক্ষার পর উপযুক্ত লবণ নির্ধারণ করেছেন। এরপর সরকার সাড়ে ৭ লাখ মণ লবণ কিনে সারা দেশে বিতরণ করেছে।
কেউ কেউ লবণের দাম বাড়ার কথা বলছেন, কিন্তু আমাদের লবণ চাষিদের কথাও চিন্তা করতে হবে।’
চামড়া সংরক্ষণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সরকার লবণ দিয়ে চামড়া সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে, যাতে চামড়া নষ্ট না হয় এবং ব্যবসায়ীরা যাতে ভালো দাম পান। বাজারে এক দিনে প্রচুর সরবরাহ হলে দামে কিছুটা প্রভাব পড়ে। তবে সংরক্ষণ করে ধীরে ধীরে বিক্রি করলে আরো ভালো দাম পাওয়া সম্ভব।’
ব্যবসা ও বাণিজ্য নিয়ে দৃষ্টিভঙ্গির প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যবসা চাই।
শুধু একটি বা দুটি দেশের সঙ্গে নয়, বরং ভারত, চীন, পাকিস্তান, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের সব দেশের সঙ্গে বাণিজ্য করতে চাই। একইভাবে বৈশ্বিক বাজার থেকেও পণ্য আমদানি করব।’
সভায় উপস্থিত ছিলেন নাটোরের পুলিশ সুপার আমজাদ হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আবুল হায়াত, চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হালিম সিদ্দিকীসহ স্থানীয় ব্যবসায়ী নেতারা।
এর আগে, বাণিজ্য উপদেষ্টা হেলিকপ্টারে করে নাটোর স্টেডিয়ামে পৌঁছলে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাকে স্বাগত জানান। পরে তিনি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নাটোরের চামড়ার আড়ত পরিদর্শন করেন।
টিএ/