বলিউডে এখন আবার হাসির ছবির জোয়ার। ঠিক এই সময়েই পর্দায় ফিরছেন অজয় দেবগন, সঙ্গে নিয়ে আসছেন বহুল প্রতীক্ষিত ‘সন অব সরদার ২’।
সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে কমেডি ছবি ‘হাউসফুল ৫’। শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত মাত্র তিন দিনেই আয় প্রায় ৯১ কোটি রুপি। যদিও এটি হাউসফুল ধারাবাহিকের সবচেয়ে বড় সাফল্য নয়, তবুও দর্শকদের হলে ফেরা স্পষ্ট প্রমাণ করে দিয়েছে একটাই কথা—আবারও মনোরঞ্জনের সিনেমা চায় দর্শক।
এমন এক সময় যখন হাসির ছবিই বক্স অফিসে বাজিমাত করছে, তখন ‘সন অব সরদার ২’-এর সম্ভাবনা নিয়েও আশাবাদী নির্মাতারা। ২০১২ সালে মুক্তি পাওয়া প্রথম কিস্তিটি ছিল মাঝারি মানের সাফল্য। পাঞ্জাবি রং, অ্যাকশন ও হাস্যরসের মিশেলে গড়ে উঠেছিল সেই গল্প। আর এবার দীর্ঘ ১৩ বছর পর তার সিকুয়েল আসছে।
সিনেমা বিশ্লেষকদের মতে, দর্শকের মন এখন অনেক বেশি উদার। গল্পে যুক্তির অভাব থাকলেও যদি হাসাতে পারে, তাহলে তারা গ্রহণ করে নিচ্ছেন। নস্টালজিয়া আর গ্ল্যামারকেই তারা বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন এখন।
তবে শুধু পুরনো জনপ্রিয়তা বা তারকাখচিত দৃশ্য দিয়ে সফল হওয়া যাবে না, এই বিষয়ে সতর্ক নির্মাতারা। যদি গল্পে নতুনত্ব না থাকে, যদি পুরনো রসিকতা নতুন নামে পরিবেশন করা হয়, তবে সেই ছবি ব্যর্থ সিকুয়েলদের তালিকায় নাম লেখাতে বাধ্য।
তাই নির্মাতাদের কাছে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো, পুরনো আবেগকে নতুন হাসিতে পরিণত করা।
এসএম/টিকে