চলচ্চিত্রের শেষ দৃশ্য কখনও কখনও আমাদের কাঁদিয়ে ফেলে, অবাক করে দেয়, আবার কখনও গভীরভাবে হৃদয়ে গেঁথে থাকে বছরের পর বছর। এমন কিছু হিন্দি সিনেমা রয়েছে, যাদের ক্লাইম্যাক্স শুধুই একটি গল্পের সমাপ্তি নয়, বরং জীবনের নতুন উপলব্ধি হিসেবে দর্শকের মনে ছাপ ফেলে।
২০১২ সালের ‘তালাশ’ ছবিতে আমির খান, কারিনা কাপুর ও রানী মুখার্জির অভিনয় দর্শকদের এক অতিপ্রাকৃত বাস্তবতার মুখোমুখি করেছিল। চূড়ান্ত টুইস্টে জানা যায়, ছবির রহস্যময় নারী চরিত্রটি অনেক আগেই মারা গেছেন। ভূতের উপস্থিতি আর মানসিক বেদনার মিশেলে এই ক্লাইম্যাক্স এখনও অনেক দর্শকের মনে গেঁথে রয়েছে।
‘মাসান’ ছবির শেষ দৃশ্য, যেখানে দুই ব্যর্থ প্রেমিক-প্রেমিকা এক নৌকায় ভেসে চলেছে, একটি জীবন কবিতার মতো। ভিকি কৌশল আর ঋচা চাড্ডার সেই নিঃশব্দ সংলাপহীন মুহূর্ত আজও চোখে পানি এনে দেয়।
২০০৩ সালের ‘কাল হো না হো’ ছবিতে শাহরুখ খানের চরিত্রের মৃত্যুর পূর্বাভাস থাকা সত্ত্বেও শেষ বিদায় দৃশ্যটি চোখের জল আটকাতে দেয় না কাউকে।
‘দৃশ্যম’ ছবিতে অজয় দেবগনের অভিনয়ে শেষ মুহূর্তে প্রকাশ পায়, খুনের লাশ লুকানো ছিল পুলিশেরই নতুন ভবনের নিচে। এই চমক হিন্দি রহস্যচলচ্চিত্রের সংজ্ঞাই বদলে দেয়।
‘বরফি!’ ছবির শেষ দৃশ্য দেখায় রণবীর আর প্রিয়াঙ্কার চরিত্র একসাথে জীবনের শেষ নিঃশ্বাস নিচ্ছে। এত সরল প্রেম আর নিঃশব্দ আবেগ কেবল কিছু চলচ্চিত্রই ধরতে পারে।
‘কাহানি’ ছবির শেষ দৃশ্যের মোচড় এক কথায় বিস্ময়কর। বিদ্যা বালান আদৌ গর্ভবতী ছিলেন না। এই সত্য আবিষ্কারে দর্শক বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ে।
‘দ্য লাঞ্চবক্স’-এ ইরফান খান ও নিমরাত কৌরের না দেখা প্রেমে জমে ওঠে একটি প্রশ্ন, তারা কি আদৌ কখনও একে অপরের সামনে এসেছিল? উত্তর মেলে না, কিন্তু হৃদয়ের ভিতরে প্রশ্নটি থেকে যায় চিরকাল।
এইসব সিনেমা শুধুই বিনোদন নয়,মানুষের আবেগ, প্রেম, হারানো, প্রতিশোধ, বেদনা ও মানবিকতার এক জটিল প্রতিচ্ছবি। যেগুলর শেষ দৃশ্য দেখে দর্শক যেমন কেঁদেছে, তেমনি চুপচাপ বসে জীবনের উপলব্ধিতে ডুবেছেন অনেকক্ষণ।
এসএম/টিকে