আবারও আলোচনার কেন্দ্রে দীপিকা পাড়ুকোন। বলিউডের এই তারকা এবার যুক্ত হয়েছেন পরিচালক অ্যাটলির নতুন অ্যাকশনধর্মী সিনেমায়, যেখানে তার বিপরীতে থাকছেন দক্ষিণী সুপারস্টার আল্লু অর্জুন। আপাতত ছবির নাম ঘোষণা না হলেও এর অস্থায়ী নাম হিসেবে শোনা যাচ্ছে ‘এএ বাই বাই টু টু এক্স এ সিক্স’।
গত ৭ জুন প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সান পিকচার্স এক ভিজ্যুয়াল টিজার প্রকাশ করে দীপিকার অংশগ্রহণের ঘোষণা দেয়। সেখানে দেখা যায়, অ্যাটলি দীপিকাকে গল্প শোনাচ্ছেন, এরপরই ভিএফএক্সসমৃদ্ধ অ্যাকশন দৃশ্যের এক ঝলক। ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবহৃত ট্যাগলাইন ছিল— “দ্য কুইন মার্চেস টু কনক্যার। ওয়েলকাম অনবোর্ড দীপিকা পাড়ুকোন।”
এই ঘোষণার পর থেকেই সামাজিক মাধ্যমে শুরু হয় দুই রকম প্রতিক্রিয়া। একদিকে যেমন প্রশংসা আর উচ্ছ্বাসের ঢল, অন্যদিকে উঠেছে সমালোচনার ঝড়। প্রশংসায় সামিল হয়েছেন সামান্থা রুথ প্রভু এবং কাজল আগরওয়াল। সামান্থা লেখেন, “ইয়াসস কুইন”, আর কাজলের মন্তব্য— “বিয়ন্ড স্টানিং।”
তবে এই প্রশংসাকেও সন্দেহের চোখে দেখেছেন অনেকেই। ‘স্পিরিট’ সিনেমার নায়ক প্রভাস এবং পরিচালক সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গার ভক্তরা অভিযোগ তুলেছেন, এটি একটি সাজানো প্রচারণা কৌশল। তাঁদের দাবি, ‘স্পিরিট’ থেকে দীপিকার বেরিয়ে আসার ঘটনা ধামাচাপা দিতেই এই হাইপ তৈরি করা হয়েছে। এমনকি সামান্থা ও কাজলকে এক “নারীবাদী গ্যাং”-এর সদস্য বলেও আক্রমণ করা হয়েছে, যারা নাকি ইচ্ছাকৃতভাবে সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গাকে লক্ষ্য করে সমালোচনার কৌশল আঁটছেন।
কিন্তু বাস্তবতা বলছে অন্য কথা। সামান্থা ইতিমধ্যেই অ্যাটলির সঙ্গে তিনটি ছবিতে কাজ করেছেন এবং অ্যাটলির স্ত্রীর ঘনিষ্ঠ বন্ধু তিনি। আর কাজল আগরওয়াল একাধিকবার আল্লু অর্জুনের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেছেন এবং বরাবরই সহ-অভিনেতাদের সাফল্যে খোলামেলা প্রশংসা করে থাকেন। সুতরাং, তাঁদের মন্তব্য যে নিছক বন্ধুত্ব ও পেশাগত শ্রদ্ধাবোধ থেকেই এসেছে, তা বলাই যায়।
শিল্পের এই জায়গায় সহযোগিতা ও সংহতির গুরুত্ব অপরিসীম। তাই কাউকে সমর্থন জানানো মানেই যে তার পেছনে রাজনীতি আছে, তা ধরে নেওয়া ঠিক নয়। কখনো কখনো “ইয়াসস কুইন” মানে শুধু এক রানির জন্য সত্যিকারের আনন্দের প্রকাশ— আর কিছু নয়।
এসএন