ইরানে বেশ কয়েকটি পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। রাতভর চালানো এই হামলায় দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি ও রেভল্যুশনারি গার্ডের প্রধান জেনারেল হোসেইন সালামিসহ আরও অনেকেই নিহত হয়েছেন।
ভয়াবহ এই হামলার পর ইসরায়েলে পাল্টা হামলা শুরু করেছে ইরান। দেশটি ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে শতাধিক ড্রোন নিক্ষেপ করেছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর বরাত দিয়ে শুক্রবার (১৩ জুন) এই তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
অন্যদিকে ইরানে ইসরায়েলি হামলার পর আকাশসীমা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে জর্ডান। সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ইরানের পক্ষ থেকে ১০০টিরও বেশি ড্রোন ইসরায়েলের দিকে নিক্ষেপ করা হয়েছে বলে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে।
শুক্রবার এই তথ্য জানিয়ে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র অ্যাফি ডেফরিন বলেন, “সকল আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চালু রয়েছে এবং এগুলো হুমকি প্রতিহত করতে কাজ করছে। এটি একেবারে ভিন্ন ধরনের পরিস্থিতি—আমরা কঠিন সময়ের মুখোমুখি হচ্ছি। তাই আমাদের ধৈর্য ও সাহসের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে।”
ড্রোনগুলো ঠিক কোথায় আঘাত হেনেছে বা প্রতিহত করা হয়েছে কিনা, সে বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়নি। তবে পরিস্থিতি যে আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে, সে বিষয়ে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে শুক্রবার ভোরে ইসরায়েলের ইরান আক্রমণের পর জর্ডান সাময়িকভাবে তাদের আকাশসীমা বন্ধ ঘোষণা করেছে। জর্ডানের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (সিএআরসি) জানায়, “এটি একটি সতর্কতামূলক পদক্ষেপ, যা নেওয়া হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যে সৃষ্ট সামরিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে।”
সংস্থার প্রধান হাইথাম মিস্তো বলেন, এই সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল নিয়মনীতি ও নিরাপত্তা নির্দেশনা অনুযায়ী নেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে সময় অনুযায়ী এই নিষেধাজ্ঞা পর্যালোচনা করা হবে।
অন্যদিকে ইসরায়েল ও ইরান উভয় দেশই ইতোমধ্যেই তাদের আকাশসীমা সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে। ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইটরাডার২৪-এর তথ্য অনুসারে, শুক্রবার ভোরে উভয় দেশের আকাশ একপ্রকার ফাঁকা ছিল, কোনও বাণিজ্যিক উড়োজাহাজ চলাচল করছিল না।
আরআর/এসএন