বলিউডে প্রেমের গল্প মানেই শুধু ফুল আর কবিতা নয়, কখনও কখনও সম্পর্কের মাঝেই গেঁথে থাকে বিশ্বাসঘাতকতা, অপরাধ আর রক্তাক্ত সমাপ্তির ছাপ। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় বলিউড একাধিক থ্রিলার উপহার দিয়েছে যেখানে প্রেম রূপ নিয়েছে প্রাণঘাতী ষড়যন্ত্রে। স্ত্রীরা কখনও প্রেমিকা, কখনও প্রতারক—আর ভালোবাসা হয়ে উঠেছে মৃত্যুর ছায়া।
‘হাসিন দিলরুবা’ সিনেমায় একটি বিস্ফোরণের মধ্যে নিহত হয় রিশাভ, আর গোটা সন্দেহ ঘনীভূত হয় তার স্ত্রী রানিকে ঘিরে। তদন্ত যত এগোয়, স্পষ্ট হতে থাকে লালসা, হিংসা আর দুর্বিষহ অতীতের গভীর রহস্য। তাপসী পান্নুর চরিত্রে জটিলতা আর বিপদের ইঙ্গিত মিলেছে পরতে পরতে।
‘আন্ধাধুন’ ছবিতে এক অন্ধ পিয়ানিস্ট জড়িয়ে পড়েন খুনের কাণ্ডে। টাবু অভিনীত রহস্যময় নারী চরিত্রটি দর্শকের মনে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলে, যেখানে সত্য-মিথ্যার সীমা হয়ে ওঠে ঘোলাটে। আয়ুষ্মান খুরানার অসাধারণ অভিনয় সিনেমাটিকে পৌঁছে দেয় অন্য উচ্চতায়।
‘ইত্তেফাক’ সিনেমায় স্ত্রী ও তার প্রেমিক মিলে স্বামীকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করে। পুলিশের তদন্তে উঠে আসে পরস্পরবিরোধী গল্প, যেখানে প্রত্যেকেই লুকিয়ে রাখছে নিজেদের সত্য। ‘হুডানইট’ ঘরানার এই থ্রিলারে প্রতিটি চরিত্রই সন্দেহভাজন।
২০০০ দশকের শুরুর আলোচিত থ্রিলার ‘হমরাজ’-এ প্রিয়া এক ধনী ব্যবসায়ীকে বিয়ে করে কেবল তার সম্পদের আশায়। কিন্তু লোভ, প্রেম আর অপরাধবোধ গুলিয়ে দেয় পুরো পরিকল্পনাকে। নাচ ও সংগীতের সঙ্গে মিশে যায় বিশ্বাসঘাতকতার ছায়া।
‘জিসম’ সিনেমায় বিপাশা বসু অভিনীত চরিত্র সোনিয়া, যিনি নিজের প্রেমিকের মাধ্যমে স্বামীকে খুন করায়। এই সিনেমায় ভালোবাসা ছিল একমাত্র অস্ত্র—যা দিয়ে খুন, ছলনা ও ক্ষমতার খেলা চালানো হয়। প্রেমের আড়ালে লুকিয়ে থাকা অপরাধবোধ ধীরে ধীরে গ্রাস করে সবকিছু।
এই সিনেমাগুলো প্রমাণ করে, ভালোবাসা শুধু যে ত্যাগ ও আবেগের কথা বলে তা নয়—এর মধ্যেই লুকিয়ে থাকতে পারে সবচেয়ে গভীর প্রতারণা, অন্ধকার এবং প্রাণঘাতী সমাপ্তি।
আরআর