নিরাপত্তা দিতে বসানো সিসিটিভি এখন উল্টো হয়ে উঠছে ভয়ংকর নজরদারির ফাঁদ। বিশ্বজুড়ে ৪০ হাজারের বেশি সিকিউরিটি ক্যামেরা কোনো নিরাপত্তা ছাড়াই সরাসরি অনলাইনে সম্প্রচার করছে। এর মানে হলো, যে কেউ চাইলে পাসওয়ার্ড ছাড়াই এসব ক্যামেরার ভিডিও দেখতে পারছে!
যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি এমন অরক্ষিত ক্যামেরা রয়েছে, যার সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজার। এরপর রয়েছে জাপান, অস্ট্রিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশ। ক্যালিফোর্নিয়া ও টেক্সাস অঙ্গরাজ্যই সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে।
এসব ক্যামেরার অনেকগুলোই বসানো হয়েছে হাসপাতাল, এটিএম বুথ, স্কুল, কারখানা এমনকি শিশুদের নার্সারিতেও। অনেকেই জানেনই না, তাদের ব্যক্তিগত মুহূর্তগুলো খোলা থাকছে পুরো দুনিয়ার জন্য। প্রধান সমস্যা হচ্ছে, ব্যবহারকারীরা ডিফল্ট পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করেন না।
অনেক ক্যামেরার খোলা API বা ডেভেলপার লিংকও সহজলভ্য থাকে। পুরনো ফার্মওয়্যার ব্যবহারের কারণেও ক্যামেরাগুলো সহজে হ্যাকের শিকার হয়। হ্যাকাররা চুরি, জালিয়াতি ও মানসিক চাপ তৈরি করতে এসব ক্যামেরার ভিডিও ফিড ব্যবহার করছে। এমনকি ডার্ক ওয়েবে বিক্রি হচ্ছে এসব ক্যামেরা অ্যাক্সেস! হ্যাকার ফোরামে শেখানো হচ্ছে কীভাবে এই ক্যামেরা খুঁজে বের করতে হয়।
স্মার্ট হোম, স্মার্ট অফিস, স্মার্ট শহরের ভিড়ে ‘স্মার্ট নিরাপত্তা’না থাকলে সেটি হয়ে উঠতে পারে বড় বিপদ। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, ডিফল্ট পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করা, শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার, ফার্মওয়্যার আপডেট, ওয়াই-ফাই এনক্রিপশন নিশ্চিত করা এবং প্রয়োজনে ক্যামেরা ইন্টারনেট থেকে আলাদা করে রাখা উচিত। সময়মতো চেক করতে হবে ক্যামেরা কোথায় সম্প্রচার করছে।
এফপি/টিএ