সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার পুষ্পকাটি গ্রামের ইটভাটা মালিকের কাছে সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে আটক তিন যুবকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১৩ জুন) দুপুরে পুলিশ বাদী হয়ে দণ্ডবিধির ১৫১ ধারায় এ মামলা দায়ের করে।
আটক যুবকরা হলেন দেবহাটা উপজেলার বহেরা গ্রামের বাসিন্দা নাহিদ হাসান, আশাশুনি উপজেলার গোদাড়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রহমান এবং শ্যামনগর উপজেলার কালিঞ্চি গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রহিম।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে যে, পুষ্পকাটি গ্রামে কয়েকজন যুবক শান্তি ভঙ্গের উদ্দেশ্যে জমায়েত হয়েছেন।
বারবার নিষেধ করা সত্ত্বেও তারা ঘটনাস্থলে অবস্থান করায় পুলিশ তাদের আটক করে। এরপর আদালতে সোপর্দ করলে ভারপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মেহেদী হাসান তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
অভিযুক্তদের জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাতক্ষীরা আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মো. আবু সাঈদ আনম।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সমন্বয়কদের ভয়ে হামলায় আহত ইউপি সদস্য গোলাম রব্বানী ভয়ের কারণে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে কিংবা থানায় মামলা দিতে সাহস পাননি।
অভিযুক্তরা জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর রব্বানী ও তার পরিবারের সদস্যসহ অনেক প্রতিবেশী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। পরিস্থিতির ভয়াবহতায় আশপাশের বেশ কয়েকজন বাসিন্দা শুক্রবার বিকেল থেকেই এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে আটক তিনজনসহ পাঁচজন যুবক ‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ে ধারালো অস্ত্রসহ কুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য এবং পুষ্পকাটি গ্রামের বিসমিল্লাহ ব্রিকসের মালিক গোলাম রব্বানীর বাড়িতে প্রবেশ করে। এ সময় তারা ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন।
টাকা না পেয়ে তারা ইউপি সদস্য গোলাম রব্বানীকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে জখম করে। হামলার সময় রব্বানীর ভাইয়ের স্ত্রী সেলিনা খাতুনের মাথায় শটগান ধরে নয় লাখ টাকা ও সাত ভরি ওজনের সোনার গহনা লুট করে নেয়। পরে পালানোর সময় স্থানীয় জনতা তিনজনকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে সেনাবাহিনীর কাছে সোপর্দ করে। সেনাবাহিনী সেদিন রাতেই আটকদের দেবহাটা থানায় হস্তান্তর করে।
এসএম/টিকে