নির্বাচনকালীন বা তত্ত্বাবধায়ক নামে আলাদা সরকার নয়- নিরপেক্ষ থাকলে, অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনেই ভোটে যাবে বিএনপি। দলটির নেতারা বলছেন, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনই, এ সরকারের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ। আর এ চ্যালেঞ্জে কাটাতে শিগগিরই পুলিশ-প্রশাসন সংস্কারে বিকল্প দেখছেন না দলটির নেতারা।
পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নির্বাচনের তারিখ নিয়ে তৈরি হয় ধোঁয়াশা। ভোট কবে? ডিসেম্বর, জুন নাকি এপ্রিল, সব সংকট কেটে যায় লন্ডনে অন্তর্বর্তী সরকার প্রধানের সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠকে। সিদ্ধান্ত আসে রোজার আগের সপ্তাহে নির্বাচন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমীগর বলেন, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে নির্বাচনের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। তারেক রহমান আবারও প্রমাণ করলেন, রাষ্ট্র নায়ক হিসেবে যে গুণগুলো থাকা দরকার সে গুণগুলো প্রমাণ করেছেন। সেই বৈঠকটিতে আল্লাহর রহমতে তিনি সফল হয়েছেন।
কার অধীনে হবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন?- এমন প্রশ্নে বিএনপির মত, বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনেই হতে পারে ভোট।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরাও যেনতেনভাবে নির্বাচন চাই না। সেই হিসেবে আমরা সংস্কারের বিষয়ে কথা বলছি, সরকারে বলেছে এবং আমাদের দলের কমিটমেন্টও ছিল। সুতরাং সবক্ষেত্রে যদি আমরা মনে করি যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যে এক্সাক্ট পজিশন সেটি এই সরকারের পজিশন হবে তা নয়। আমি স্বীকার করছি, এই সরকারের অধীনেই সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব, যদি আমরা এক জায়গায় থাকি, ঐক্যবদ্ধ থাকি এবং সবাই সরকারকে সহযোগিতা করি।’
সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা আশা করব, অন্তর্বর্তী সরকার যেন কারো প্রতি, রাজনৈতিক কোনো শ্রেণির প্রতি কোনো পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ না করে।’
নির্বাচন নিয়ে কয়েকটি দলের ষড়যন্ত্রের শঙ্কা বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমেদের।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের এক সময় ধারণা ছিল, এই সরকার বোধহয় নির্বাচন দেবে না। কিন্তু নির্বাচনের জন্য কোনো রাজনৈতিক দল নয় জনগণের পক্ষ থেকে যে চাপ প্রয়োগ করা হয়েছে তাতে বাধ্য হয়ে এই সরকারকে নির্বাচনে যেতে হয়েছে।’
হাফিজ উদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, ‘অনেকগুলো দল আছে যারা দেশে নির্বাচন চায় না। কারণ নির্বাচন হলে আর তাদের গুরুত্ব থাকবে না। নির্বাচন হলে দেখা যাবে, প্রতি সিটে তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।’
ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে নির্বাচন ধরে, প্রার্থী চূড়ান্ত করতে শিগগিরই কাজ শুরু করবে বিএনপি।
এসএন