নির্বাচন যেভাবে গুরুত্ব পেয়েছে, সংস্কার সেভাবে প্রাধান্য পায়নি: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, জাতীয় ঐক্যমত্যের প্রশ্নে, দেশের স্বার্থে সরকারের সঙ্গে সব রাজনৈতিক দলের এমন সুসম্পর্কই কাম্য। কিন্তু হতাশার বিষয়- বৈঠকে নির্বাচনের মাস ও তারিখ যেভাবে গুরুত্ব পেয়েছে অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আকাঙ্ক্ষা বিচার ও সংস্কার সেভাবে প্রাধান্য পায়নি।

শুক্রবার (১৩ জুন) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠককে আমরা ইতিবাচকভাবে দেখি।

এই সরকার শুধু নির্বাচন দেওয়ার জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোনোরূপ নয় বরং একটি অভ্যুত্থানের ওপর দাঁড়িয়ে, দেশের মানুষের অসংখ্য ত্যাগের ওপর দাঁড়িয়ে জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষার কাছে দায়বদ্ধ একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

তিনি আরও লেখেন, জুলাই মাসের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র ও জুলাই সনদ, মৌলিক সংস্কার, দৃশ্যমান বিচার এবং নির্বাচনকেন্দ্রিক প্রয়োজনীয় সংস্কার সাধন নির্বাচনের পূর্বশর্ত। জুলাই সনদের পূর্বে নির্বাচনের মাস আর তারিখ নিয়ে কথা বলা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান দায়বদ্ধতা ভুলে যাওয়ার নামান্তর। সনদ রচনার পরেই নির্বাচন বিষয়ক আলোচনা চূড়ান্ত হওয়া উচিত।

তিনি লেখেন, দেশের স্থানীয় পর্যায়ে এরই মধ্যে চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব, প্রশাসনকে প্রভাবিত করা, পেশি শক্তির প্রদর্শনসহ ক্ষমতার অপব্যবহারের নানা দৃষ্টান্ত প্রতিনিয়ত দৃশ্যমান হচ্ছে‌। এই অবস্থায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা। যেটা নির্বাচনের অন্যতম আরেকটি পূর্বশর্ত।

তিনি আরও লেখেন, নির্বাচনের মাস এপ্রিল কিংবা ফেব্রুয়ারি যেটাই হোক না কেন, তার চেয়ে মুখ্য বিষয় হচ্ছে নির্বাচনের পূর্বে জুলাই সনদ, দৃশ্যমান বিচার এবং মৌলিক সংস্কারগুলো হচ্ছে কি না।

অন্যথায় একটা গণঅভ্যুত্থান শুধু ক্ষমতা পালাবদলের মাধ্যম হয়ে থাকবে। যে ঐতিহাসিক দায় এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কখনোই এড়াতে পারবে না।

আরএম  

Share this news on:

সর্বশেষ

img
লর্ডসে অজিদের হারিয়ে চোকার তকমা ঘুচাল প্রোটিয়ারা Jun 15, 2025
img
তারেমির ফেরা অনিশ্চিত, চাপে ইন্টার মিলান Jun 15, 2025
img
দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় ঢাকা অবস্থান দ্বিতীয় Jun 15, 2025
img
তেল স্থাপনায় হামলা বাড়লে হরমুজ প্রণালী বন্ধ করবে তেহরান Jun 15, 2025
img
মালদ্বীপে সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে, বাংলাদেশিদের সতর্ক হতে পরামর্শ Jun 15, 2025
img
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ইসরায়েলে নিখোঁজ ৩৫ জন Jun 15, 2025
img
শান্তির জন্য ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি ত্যাগ করার আহ্বান হোয়াইট হাউসের Jun 15, 2025
img
৫২টি ফ্লাইটে ফিরলেন ২০ হাজারের বেশি হাজি Jun 15, 2025
img
কখনোই দিনে ২০ ঘণ্টা কাজ করিনি : কাজল Jun 15, 2025
img
বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশের মানুষ বাঁচবে : খৈয়াম Jun 15, 2025
img
ক্লাব বিশ্বকাপে মেসির ইন্টার মায়ামির গোলশূন্য সূচনা Jun 15, 2025
img
ঈদের ছুটি শেষে শেয়ার বাজার খুলছে আজ Jun 15, 2025
img
ঢাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনা, তবুও তাপমাত্রা বাড়তে পারে Jun 15, 2025
img
১০ দিনের ঈদের ছুটি শেষে অফিস-আদালত খুলছে আজ Jun 15, 2025
img
কুবেরা মুক্তির আগে তেলেগু ইন্ডাস্ট্রিকে সতর্ক করলেন নাগার্জুনা Jun 15, 2025
img
সীতাকুণ্ডে ঝরনায় ডুবে প্রাণ গেল ১ জনের Jun 15, 2025
img
গত ১৭ বছর মাফিয়াতন্ত্র কায়েম করেছিলেন স্বৈরাচারী সরকার : শারমিন পুতুল Jun 15, 2025
img
ইরানের হামলায় নেতানিয়াহুর দেশে নিহত বেড়ে ছয়, আহত প্রায় ৫০ Jun 15, 2025
img
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলে নিহত বেড়ে ৩ Jun 15, 2025
img
এবার ইসরায়েলে হামলা করল ইয়েমেন Jun 15, 2025