ঈদের ছুটি শেষে ভোগান্তি পেরিয়ে ঢাকায় ফিরছে মানুষ

আগামীকাল রোববার (১৫ জুন) থেকে পুরোপুরি সরব হচ্ছে ঢাকা। খুলছে অফিস-আদালত, বাণিজ্যিকসহ সব শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান। ঈদুল আজহার ছুটি শেষে তাই ঢাকা ফেরা যাত্রীর চাপ বেড়েছে সড়ক, মহাসড়কে। যমুনা সেতু হয়ে ঢাকা ফেরত আসা যাত্রীরা পড়ছেন ভোগান্তিতে।

সিরাজগঞ্জ থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত ৩/৪ কিলোমিটার সড়ক পাড়ি দিতে বাড়তি ৪/৫ ঘণ্টা সময় লাগায় প্রত্যেকটি বাস ফিরছে দেরিতে।

রাজধানীর গাবতলী আন্তঃজেলা বাস টা টার্মিনালের হানিফ পরিবহনের কাউন্টারের কর্মী মোস্তফা গণমাধ্যমকে বলেন, এখন পর্যন্ত মাত্র একটি বাস নির্ধারিত সময়ে ঢাকা পৌঁছেছে। উত্তরবঙ্গের বাকি রুটের সব বাসই নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ৩/৪ ঘণ্টা দেরিতে ঢাকা আসছে। এখনো ৮ ও ৯ বাস ঢাকা পৌঁছেনি বলে জানান তিনি।

সরেজমিনে গাবতলী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা যায় , উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে ছেড়ে বাস যাত্রীরা নামছেন, অনেকটা তড়িঘড়ি করে নেমে লোকাল বাস, সিএনজি বা রিক্সা চেপে ফিরছেন গন্তব্যে।

অধিকাংশ যাত্রীই বিরক্ত। ভোগান্তি পোহানো যাত্রীরা বলছেন , ফিরতি যাত্রায় সড়কে অতিরিক্ত ৩/৪ ঘণ্টা ভুগতে হয়েছে।

সরেজমিনে রাজধানীর টেকনিক্যাল মোড়ে কথা হয় পাবনা থেকে ছেড়ে আসা সি-লাইন এসি বাসের চালক মোহাম্মদ আকবর হোসেনের সঙ্গে। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন , গতকাল রাত ১১টায় বাস ছেড়েছে, স্বাভাবিকভাবে ভোর ৫টা থেকে সাড়ে ৫টার মধ্যে পৌঁছানো সম্ভব, সেখানে ঢাকা পৌঁছলাম চার ঘণ্টা দেরিতে।

কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন , সড়কে চাপ নেই। দুর্ঘটনার খবরও পাইনি। কিন্তু সিরাজগঞ্জের কডডার মোড় থেকে যমুনা সেতুর টোল প্লাজা পর্যন্ত এই বাড়তি সময় লেগে গেছে।

রাজশাহী থেকে হানিফ পরিবহনের একটি বাসের যাত্রী আউয়াল কবির বিরক্তি নিয়ে বলেন , ঈদের আগেও গ্রামে যেতে ভুগেছি। ঈদ শেষেও ঢাকা ফিরতেও সড়কে ভোগান্তিতে পড়তে হলো, হুদাহুদি ৩ ঘণ্টা দেরি।

শ্যামলী পরিবহনের বাসে দিনাজপুর থেকে ঢাকা আসা যাত্রী মাদ্রাসার শিক্ষার্থী হোসেন আলী গণমাধ্যমকে বলেন, রাত সাড়ে ৯টার বাস, ভোর ছয়টার মধ্যেই পৌঁছে যাওয়ার কথা সেখানে পৌঁছলাম ১০টায়। যমুনা সেতুর কাছে আসার পর মনে হচ্ছে গাড়ী নড়ছেই না। কারণ জানি না, সেতুর মুখে প্রচণ্ড জটলা ছিল। সেটা পাড়ি দিতেই এত দেরি।

কেএন/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ঊর্ধ্বতন ৪ পুলিশ কর্মকর্তার দায়িত্বে রদবদল Jun 15, 2025
img
নির্বাচন সংক্রান্ত কাজ এগিয়ে এসেছে, আমরা শুধু রেফারি : সিইসি Jun 15, 2025
"আন্দোলন থেকে উপদেষ্টার দরজায় – পুলিশের ব্যতিক্রমী ভূমিকা" Jun 15, 2025
লন্ডন বৈঠকের পরই নির্বাচনি মাঠে তুঙ্গে বিএনপির তৎপরতা Jun 15, 2025
ইরান - ইসরায়েল উত্তেজনার মধ্যেই সৌদি যুবরাজকে ফোন! Jun 15, 2025
img
যেকোনো পোশাক এক বা দুইবারের বেশি পরি না: বর্ষা Jun 15, 2025
img
স্বাস্থ্যবিধি মানতে পরীক্ষাকক্ষের আসন বিন্যাসে বাড়ানো হবে দূরত্ব Jun 15, 2025
img
রোজার স্নিগ্ধ হাসিতে মুগ্ধ নেটিজেনরা Jun 15, 2025
img
রাজনৈতিক কারণেই আমাকে শপথ পড়ানো হচ্ছে না: ইশরাক Jun 15, 2025
img
ইরানের পাশে দাঁড়ালো কাতার Jun 15, 2025
img
আ.লীগ নেতাকে সঙ্গে নিয়ে জামায়াত নেতার মাংস বিতরণের ছবি,নতুন বিতর্কের সৃষ্টি Jun 15, 2025
img
সিরাজগঞ্জে নছিমন-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত ১ Jun 15, 2025
img
চাহিদা মেটাতে তেলের বিদ্যুৎকেন্দ্র চালাবে সরকার Jun 15, 2025
img
যুক্তরাষ্ট্রকে আক্রমণ করলে নজিরবিহীন প্রতিশোধের হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের Jun 15, 2025
img
আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিলেন ইশরাক Jun 15, 2025
img
১০ দিন পর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু Jun 15, 2025
img
গোপন নজরদারির ফাঁদ: বিশ্বজুড়ে ৪০ হাজার ক্যামেরা উন্মুক্ত Jun 15, 2025
img
তারেক রহমানের সাথে বৈঠকে উপদেষ্টা পরিষদ সন্তুষ্ট : রিজওয়ানা Jun 15, 2025
img
আমার দিকে তিনি যেভাবে তাকান তাতে আমি গলে জল হয়ে যাই: স্বস্তিকা মুখার্জি Jun 15, 2025
img
সৌদি আরবে হজযাত্রায় আরও এক বাংলাদেশির মৃত্যু Jun 15, 2025