সালমান খানের ক্যারিয়ার যেমন ব্লকবাস্টার হিট আর জনপ্রিয়তার ইতিহাসে ভরা, ঠিক তেমনি নানা বিতর্কেও পূর্ণ। তবে তার জীবনের সবচেয়ে আলোচিত এবং বিস্ময়কর ঘটনাগুলোর একটি হলো বর্ষীয়ান চলচ্চিত্র নির্মাতা সুভাষ ঘাইয়ের সঙ্গে তার সংঘর্ষ। বলিউডের এক পার্টিতে ঘটে যাওয়া এই ঘটনা অনেকদিন ধরেই ইন্ডাস্ট্রিতে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল।
এক পুরনো সাক্ষাৎকারে ‘লেহরেন’-কে সালমান খান স্বীকার করেছিলেন, তিনি সুভাষ ঘাইকে থাপ্পড় মেরেছিলেন।তবে তিনি স্পষ্ট করে দেন, তখন তিনি মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন না।
সালমানের দাবি অনুযায়ী , সুভাষ ঘাই প্রথমে তাকে চামচ দিয়ে আঘাত করেন, তারপর একটি প্লেট তার মুখের দিকে ছুঁড়ে মারেন, এমনকি তার জুতার ওপর প্রস্রাব করে দেন এবং তার গলা চেপে ধরেন। এ ধরনের আচরণের পর সালমান উত্তেজিত হয়ে থাপ্পড় মারেন।
এই ঘটনার পর সালমান খানের বাবা, বিখ্যাত চিত্রনাট্যকার সেলিম খান পরিস্থিতি শান্ত করতে এগিয়ে আসেন।তিনি ছেলেকে জিজ্ঞাসা করেন সে কি নিজের ভুল বুঝতে পেরেছে। সালমান মাথা নাড়তেই সেলিম খান তাকে সুভাষ ঘাইয়ের কাছে গিয়ে ক্ষমা চাইতে বলেন।
পরদিন সকালে সালমান খান নিজে গিয়ে সুভাষ ঘাইয়ের দরজায় হাজির হন। ঘাই নিজেই পরে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, সালমান সে সময় এমন ভঙ্গিতে এসেছিলেন যেন তিনি এক অপরাধী শিশু।
যখন ঘাই জিজ্ঞাসা করেন, ‘গত রাতে কী হয়েছিল?’, সালমান উত্তর দেন, ‘আমি এসেছি, কারণ আমার বাবা বলেছেন ক্ষমা চাইতে।’ পরে সালমান স্বীকার করেন তিনি সত্যিই দুঃখিত এবং দুইজনই সেই মুহূর্তে বিষয়টি ভুলে গিয়ে সম্পর্ক স্বাভাবিক করে তোলেন।
এই ঘটনার অনেক পরে, সুভাষ ঘাই তার ছবিতে সালমান খানকে কাস্ট করেন — ছবিটির নাম ছিল ‘যুবরাজ’, যেখানে আরো ছিলেন ক্যাটরিনা কাইফ, অনিল কাপুর এবং জায়েদ খান। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, এত বড় তারকাসমৃদ্ধ কাস্ট থাকা সত্ত্বেও, ‘যুবরাজ’ ছিল সুভাষ ঘাই ও সালমান খানের ক্যারিয়ারের অন্যতম বড় ব্যর্থতা।
এই ঘটনা বলিউডের সেই চর্চিত অধ্যায়গুলোর একটি, যা তারকাদের ব্যক্তিত্ব, অহং, ক্ষমা এবং পিতৃসূলভ পরামর্শ – সবকিছুর মিলিত প্রতিফলন।
কেএন/এসএন