ভিসা জটিলতায় নাকাল হয়ে পড়েছেন ভ্রমণপ্রত্যাশী বাংলাদেশিরা। পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, ইউরোপ এবং মধ্যপ্রাচ্যের একাধিক দেশ কঠোর নীতি আরোপ করেছে ভিসা প্রক্রিয়ায়। অনিয়মিত অবস্থান, ভুয়া তথ্য এবং অবৈধ অভিবাসনের প্রবণতা বেড়ে যাওয়ায় এসব দেশের নীতিতে এসেছে পরিবর্তন। তাই পর্যটকদের জন্য বিদেশ ভ্রমণ এখন আর সহজ নয় আগের মতো।
বর্তমানে ভ্রমণের জন্য কমপক্ষে ৪৫ দিন আগে ভিসার আবেদন করতে বলছে থাইল্যান্ড। তবে সেই আবেদনেও মিলছে না নিশ্চিত সাড়া। অনেক ক্ষেত্রেই সময় লাগছে দেড় থেকে দুই মাস। আবার প্রত্যাখ্যানও হচ্ছে অনেকের ভিসা। ভিয়েতনাম, লাওস, কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইনের মতো দেশগুলোতেও বন্ধ কিংবা সীমিত করে দেওয়া হয়েছে অন-অ্যারাইভাল বা ই-ভিসা সুবিধা। এমনকি যারা একাধিকবার ওই দেশগুলো সফর করেছেন, তারাও এখন নতুন শর্তে জর্জরিত।
এদিকে ভারতও ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে জরুরি চিকিৎসা ছাড়া কোনো ধরনের ভিসা দিচ্ছে না বাংলাদেশিদের। ফলে ভারতের পাশাপাশি কঠিন হয়ে পড়েছে নেপাল ও ভুটান ভ্রমণও। অন্যদিকে ইউরোপের শেনজেন দেশগুলোতে ভিসা প্রত্যাখ্যানের হার এখন ৫৫ শতাংশ ছুঁই ছুঁই। দুবাইসহ মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশও কার্যত বন্ধ করে দিয়েছে ভিসা ইস্যু করা।
এই জটিলতা বড়সড় আঘাত হেনেছে দেশের পর্যটন খাতে। যার কারণে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ট্যুর অপারেটর, ট্রাভেল এজেন্সি ও এয়ারলাইনসগুলো। ঈদের দীর্ঘ ছুটিতেও বিদেশভ্রমণের চেয়ে বেশি দেখা গেছে প্রবাসী যাত্রী। বিশ্লেষকরা বলছেন, ভিসা ব্যবস্থার অপব্যবহার রোধ না করলে বাংলাদেশি পাসপোর্টের গ্রহণযোগ্যতা আরও কমে যাবে, পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পর্যটনেও পিছিয়ে পড়বে বাংলাদেশ।
এসএন