বলিপাড়ার অন্দরে, দুই তারকার রেষারেষি নিয়ে কানাঘুষোর অন্ত নেই!
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একেই কেরিয়ারে ফ্লপের ফাঁড়া, বিগত কয়েক বছরে একার লড়াই বক্স অফিসে নম্বর তুলতে অক্ষয় অক্ষয় কুমার, এর মাঝেই খবর আমির খান এবং বিধু বিনোদ চোপড়া নাকি এক সিনেমা থেকে খিলাড়িকে ছাঁটাই করতে ৮ কোটি টাকা ঘুষ দিয়েছিলেন পরিচালককে! উল্লেখ্য, বক্স অফিসের গ্রাফ দেখলে আমির-অক্ষয় একে-অপরকে রীতিমতো পাল্লা দেবেন ফ্লপ সিনেমা সংখ্যায়। বছর খানেক ধরেই বলিপাড়ার অন্দরে, দুই তারকার রেষারেষি নিয়ে কানাঘুষোর অন্ত নেই! উপরন্তু ঘুষ দেওয়ার মতো মারাত্মক অভিযোগও শোনা যায়। সত্যিই কি তাই?
![]()

আমির-অক্ষয়ের প্রতিযোগিতা নাকি সেই ‘পিকে’, ‘ওহ মাই গড’ সিনেমার রিলিজের সময় থেকেই। ২০১৪ সালে বক্স অফিসে সাড়া ফেলে দিয়েছিল আমির খানের ‘পিকে’। দর্শকদের পাশাপাশি সিনেসমালোচকরাও মার্কশিটে ফুলমার্কস বসিয়েছিলেন। তবে দর্শকদের একাংশ আবার সেই সিনেমার বিষয়বস্তুর সঙ্গে তার ২০১২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত অক্ষয় কুমারের ‘ওহ মাই গড’ ছবির মিল খুঁজে পান। বিতর্কের সূত্রপাত সেখান থেকেই। কেউ কেউ আবার দাবি করেন, অন্ধবিশ্বাস, কুসংস্কারাচ্ছন্ন সমাজের ঝলক দেখানো অক্ষয়ের সেই ছবি থেকেই নাকি আমিরের ‘পিকে’ টোকা। ঠিক সেই সময়েই, বলিপাড়ায় চাউড় হয়ে যায় একটি গুঞ্জন- আমির এবং বিধু বিনোদ চোপড়া নাকি অক্ষয় কুমারের সিনেমা বন্ধ করার জন্য পরিচালক উমেশ শুক্লাকে ৮ কোটি টাকা ঘুষ দিয়েছেন। এবার সেই প্রেক্ষিতেই সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে মুখ খুললেন উমেশ।
![]()

পরিচালক জানিয়েছেন, “আদ্যোপান্ত একটা গসিপ স্টোরি এটা। এরকম কোনও ঘটনাই ঘটেনি। রাজকুমার হিরানি, অভিজাত জোশি থেকে আমির খান এরা সকলেই অত্যন্ত ট্যালেন্টেড মানুষ, বলিউডে ওঁরা খুব সম্মানিতও, তাই এইধরনের কুৎসিত কাজ ওঁরা কোনওদিনই করবেন না।” জানা যায়, ২০০০ সালেই নাকি ‘ওহ মাই গড’-এর চিত্রানট্য চূড়ান্ত করে ফেলেছিলেন নির্মাতারা। তবে পরবর্তীতে হলিউড ছবি ইনসেপশন-এর সঙ্গে সাযুজ্য খুঁজে পাওয়ায়, তাতে বদল আনতে হয়। অতঃপর উমেশ ধোঁয়াশা সরিয়ে পরিষ্কার করে দিলেন যে, ‘পিকে’ এবং ‘ওহ মাই গড’-এর বিষয়বস্তুর মিল থাকলেও, চিত্রনাট্য তৈরির সময়কাল একেবারেই আলাদা।
পিএ/এসএন