ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে চলমান সংঘাতের সরাসরি প্রভাব পড়ছে বৈশ্বিক জ্বালানি বাজারে। মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়ায় জ্বালানি সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার শঙ্কায় তেলের দাম আরও চড়া হতে শুরু করেছে।
সোমবার (১৬ জুন) এক প্রতিবেদনে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সকালে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ৬৪ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৮৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ব্যারেলপ্রতি ৭৪ দশমিক ৮৭ ডলারে। অন্যদিকে, মার্কিন ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ক্রুডের দাম ৭৬ সেন্ট বা ১ দশমিক ০৪ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৭৩ দশমিক ৭৪ ডলার।
এমনকি দিনের শুরুতে প্রতি ব্যারেলে দাম চার ডলার পর্যন্ত বেড়ে গিয়েছিল। এর আগে শুক্রবার (১৩ জুন) উভয় সূচকেই সাত শতাংশ দাম বেড়ে জানুয়ারির পর থেকে সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছিল।
সোমবার ইরান সরাসরি ইসরাইলের তেলআবিব ও হাইফা শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, যাতে বহু ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে যায়। আর এই ঘটনায় বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে চলতি সপ্তাহের জি৭ সম্মেলনে এই ইস্যু বড়ভাবে আলোচিত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
রোববারও উভয় দেশের পাল্টাপাল্টি হামলায় বেসামরিক লোক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এতে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে। বিশ্লেষকদের মতে, এই সংঘাত হরমুজ প্রণালীর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। কারণ, এই নৌপথ দিয়েই বিশ্ববাজারে সরবরাহ হয় দৈনিক প্রায় ১৮ থেকে ১৯ মিলিয়ন ব্যারেল তেল, যা বিশ্বের মোট ব্যবহারের এক-পঞ্চমাংশ। এই পথের ওপর নির্ভরশীল এশিয়া, ইউরোপ এমনকি যুক্তরাষ্ট্রও।
ফুজিটোমি সিকিউরিটিজের বিশ্লেষক তোশিতাকা তাজাওয়া বলেন, ‘চলমান ইসরাইল-ইরান সংঘাতের কারণে বাজারে তেল কেনাবেচা শুরু হয়েছে, কারণ এর কোনও দ্রুত সমাধান দেখা যাচ্ছে না। তবে শুক্রবার যেমন দাম বাড়লেও অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়ায় কিছু বিক্রি হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইসরাইলের হামলার কারণে ইরানের তেল উৎপাদনে সমস্যা হতে পারে, তবে হরমুজ প্রণালী বন্ধ হয়ে গেলে তেলের দাম অনেক বেশি বেড়ে যেতে পারে।’
আরআর/এসএন