যেখানে রাস্তাঘাটে হুইসেল দেওয়া ‘অভদ্র’ বলে বিবেচিত, ঠিক সেখানেই বলিউড এটাকে বানিয়ে তুলেছে স্টাইল, আবেগ আর সুপারস্টারিত্বের প্রতীক। শাহরুখ খানের হাসি হোক কিংবা হৃতিক রোশনের স্লো-মো এন্ট্রি — সব কিছুর নেপথ্যে একটাই অডিও সিগন্যাল: হুইসেল।
আর এই চেনা সাউন্ড ইফেক্টের পেছনে রয়েছেন এক নিরব কারিগর — নাগেশ সুরভে। বহু বছর ধরে বলিউডের অসংখ্য আইকনিক গানে হুইসেলের সুরে প্রাণ জুগিয়েছেন তিনি, অথচ দর্শকের চোখে ছিলেন অজানাই।
স্মরণীয় কিছু হুইসেল মুহূর্তঃ
১. আরে রে আরে – দিল তো পাগল হ্যায়:
নব্বই দশকের প্রেমকাহিনির সঙ্গী হয়ে উঠেছিল সেই নরম হুইসেল, যা আজও বিয়ের প্লেলিস্টে জায়গা করে নেয়।
২. ইয়ে লড়কা হ্যায় দিওয়ানা – কুছ কুছ হোতা হ্যায়:
রাহুল ও অঞ্জলির স্কুল লাইফের খুনসুটিতে প্রাণ জুগিয়েছে সেই ফ্লার্টি হুইসেল, যা এখনও ক্যাম্পাস ডান্সে জনপ্রিয়।
৩. চাঁদ সিফারিশ – ফানা:
প্রলোভনের প্রতীক হয়ে ওঠা এক হুইসেল, যা কবিতার মতো প্রেমগাঁথার মাঝে এনেছে মিষ্টি দুষ্টুমি।
৪. লাগে রহো মুন্না ভাই – টাইটেল গান:
মুন্না ভাইয়ের গান্ধীগিরির সঙ্গে একেবারে খাপে খাওয়া হুইসেল — আজও “ফিল গুড” ভাইবের প্রতীক।
৫. ধুম এগেইন – ধুম টু:
বলিউড অ্যাকশনের নতুন সংজ্ঞা তৈরি করেছিল এই হুইসেল। হৃতিক রোশনের স্টাইলিশ এন্ট্রির সঙ্গে একসাথে বাজলে শরীরে রোমাঞ্চ ছড়িয়ে পড়ে।
আজ যেখানে বাজনা, সিন্থ আর ডিজিটাল বিটের ভিড়ে হারিয়ে যাচ্ছে সরলতা, সেখানে একটা নিরীহ হুইসেলই হয়ে উঠেছে বলিউডের অন্যতম চেনা সাউন্ড সিগনেচার। এই সাদামাটা অথচ জাদুকরী উপাদানের পেছনে রয়েছেন নাগেশ সুরভের মতো সাউন্ড ডিজাইনাররা — যাঁরা শব্দ ছাড়াও সিনেমার আবেগ ছড়িয়ে দিতে পারেন।
তাই পরেরবার কোনো গানে হুইসেল শুনলে, একটুকু হাসি দিন — কারণ সেটা শুধুই সাউন্ড নয়, সেটাই বলিউড আপনাকে ডাকছে।
এফপি