সত্যভামা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি গ্রহণের পর বিখ্যাত পরিচালক অ্যাটলি প্রকাশ করলেন তার বহু প্রতীক্ষিত নতুন সিনেমা নিয়ে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। ছবিটির মুখ্য ভূমিকায় থাকছেন দক্ষিণী সুপারস্টার আল্লু অর্জুন এবং বলিউড তারকা দীপিকা পাড়ুকোন। গুঞ্জন রয়েছে, আরও একাধিক শীর্ষ নায়িকা এই ছবির কাস্টে যুক্ত হচ্ছেন।
ছবিটি শুরু হওয়ার আগেই দক্ষিণ ভারতের চলচ্চিত্র মহলে তৈরি হয়েছে জোর চাঞ্চল্য। বিশাল বাজেট, নতুন প্রযুক্তির ব্যবহারে ভরপুর এই সিনেমা হতে চলেছে ভারতের ইতিহাসে অন্যতম ব্যয়বহুল ও প্রযুক্তিনির্ভর নির্মাণ।
অ্যাটলি জানিয়েছেন, ছবির বাজেট এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি। তবে ছবির প্রযোজনা করছেন সান পিকচার্সের কর্ণধার কলানিধি মারান, যিনি ভারতের অন্যতম প্রভাবশালী প্রযোজক। ফলে এটি হতে পারে ভারতের সবচেয়ে ব্যয়বহুল সিনেমাগুলোর একটি।
ছবির নির্মাণে থাকছে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার। প্রচুর গবেষণা ও উন্নয়ন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে তৈরি হচ্ছে এর নির্মাণ পরিকল্পনা। জানা গেছে, ছবির একটি বড় অংশ স্টুডিও সেটআপে চিত্রায়িত হবে, যেখানে ভার্চুয়াল প্রোডাকশন এবং রিয়েল-টাইম রেন্ডারিং প্রযুক্তির ব্যবহার করা হতে পারে। এর ফলে বলিউডে তৈরি হতে যাচ্ছে একটি সম্পূর্ণ ভিন্ন ধাঁচের, ‘হলিউড স্কেল’-এর অ্যাকশন সিনেমা।
প্রি-প্রোডাকশন ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে মুম্বাইতে। ছবির মুক্তির তারিখ এখনও চূড়ান্ত হয়নি। অ্যাটলি জানিয়েছেন, এই সিদ্ধান্ত নেবেন প্রযোজক কলানিধি মারান নিজেই। তবে অনুমান করা হচ্ছে, ছবিটি মুক্তি পেতে পারে ২০২৬ সালের শেষ দিকে কিংবা ২০২৭ সালে।
এই ছবিতে আল্লু অর্জুন ও দীপিকা পাড়ুকোন ছাড়াও থাকতে পারেন আরও একাধিক শীর্ষস্থানীয় অভিনেত্রী। বলিপাড়ায় জোর গুঞ্জন—জাহ্নবী কাপুর ও মৃণাল ঠাকুরের মতো তারকারাও এই প্রজেক্টের সঙ্গে যুক্ত হতে পারেন।
সবমিলিয়ে, অ্যাটলির এই নতুন সিনেমা হতে যাচ্ছে ভারতীয় মূলধারার সিনেমার জন্য এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। বড় বাজেট, আধুনিক প্রযুক্তি, এবং তারকাবহুল কাস্ট—এই তিনের সম্মিলনে তৈরি হতে চলেছে এক ‘ইন্ডাস্ট্রি-ডিফাইনিং’ চলচ্চিত্র। যদি অ্যাটলির প্রতিশ্রুতির অর্ধেকও বাস্তবায়িত হয়, তবে এটি হতে পারে ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় লাফ।
আরএম/টিএ