আবারও আলোচনার কেন্দ্রে ফিরে এলেন বলিউডের বিতর্কিত ব্যক্তি কামাল আর. খান, যিনি সরাসরি অভিযোগ তুলেছেন, টাইগার শ্রফ অভিনীত ‘বাঘী ৪’ একটি কন্নড় ছবির অননুমোদিত রিমেক।
কেআরকের ভাষ্যমতে, ‘বাঘী ৪’ নির্মিত হচ্ছে এক কন্নড় চলচ্চিত্রের ভিত্তিতে, অথচ সেই ছবির রিমেক রাইটস কোনওভাবেই নেওয়া হয়নি। আরও বিস্ফোরক অভিযোগে তিনি বলেন, ছবির মূল নির্মাতারা রাইটস বিক্রি করতে রাজি না হওয়ায়, প্রযোজক সাজিদ নাদিয়াদওয়ালা একজন লেখককে দিয়ে সেই গল্পকে কেন্দ্র করে একটি বই লেখান। পরবর্তীতে, সেই বইকে 'মূল উৎস' দেখিয়ে ছবি বানানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়, যাতে রিমেক আইনের ফাঁকি দেওয়া যায়।
ছবিটি পরিচালনা করছেন দক্ষিণ ভারতের কোরিওগ্রাফার এ. হর্ষা, যিনি বলিউডে প্রথমবারের মতো পরিচালনায় আসছেন। বিষয়টি নিয়েও কটাক্ষ করেছেন কেআরকে। তার প্রশ্ন, “একজন কোরিওগ্রাফার কীভাবে অ্যাকশন ছবি পরিচালনা করবেন?” যদিও দক্ষিণী সিনেমার ভক্তরা জানাচ্ছেন, হর্ষা কেবল কোরিওগ্রাফার নন, তিনি কন্নড় ইন্ডাস্ট্রিতে একাধিক সফল ছবি পরিচালনা করেছেন।
এই ছবির মাধ্যমে ‘গণপথ’ ব্যর্থতার পর আবার পর্দায় ফিরছেন টাইগার শ্রফ। খলনায়কের চরিত্রে থাকছেন সঞ্জয় দত্ত। তবে ‘বাঘী ১’ ও ‘বাঘী ২’ বক্স অফিসে সফল হলেও ‘বাঘী ৩’ প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। ফলে এই চতুর্থ কিস্তি সিরিজটিকে আবার জাগিয়ে তুলতে পারবে কিনা, তা নিয়েই জল্পনা তুঙ্গে।
তবে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন উঠছে, রিমেক রাইটস ছাড়া বই লেখানোর মাধ্যমে নির্মাণ করা কি নৈতিক ও আইনি দিক থেকে বৈধ? কেআরকের অভিযোগ যদি সত্যি হয়, তবে এটি হতে পারে বলিউডের সাম্প্রতিক ইতিহাসে অন্যতম আলোচিত কন্টেন্ট অধিকার বিতর্ক।
এখন শুধু দর্শকই নন, বরং পুরো ইন্ডাস্ট্রি, আইনজীবী এবং মূল কাহিনির স্রষ্টারাও নজর রাখছেন ‘বাঘী ৪’-এর নির্মাণ প্রক্রিয়ার ওপর। সিনেমাটি যদি মুক্তি পায়, তবে তা শুধু আরেকটি অ্যাকশন ছবি নয়, হয়ে উঠতে পারে কন্টেন্ট চুরির বিরুদ্ধে এক নজিরবিহীন লড়াইয়ের প্রতীক।
বলিউড কি আবারও মৌলিক কাহিনি ও সৃষ্টিশীলতার প্রতি দায় এড়িয়ে যাচ্ছে? নাকি এটি কেবল কাঁদা ছোড়াছুড়ি? এর উত্তর সময়ই দেবে।
আরএম/টিএ