ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় সব পক্ষের প্রতিনিধিত্ব নেই : এনসিপি

অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত বিভিন্ন সংস্কার কমিশনের সুপারিশ চূড়ান্ত করা এবং বহুল আলোচিত ‘জুলাই সনদ’ প্রস্তুতের লক্ষ্যে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শুরু হয়েছে। আলোচনায় রাজনৈতিক দলগুলোকে কোন পদ্ধতিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ডাকছে, তা সুস্পষ্ট করার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম।

মঙ্গলবার (১৭ জুন) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার বিরতিতে এনসিপির পক্ষ থেকে এসব কথা বলেন তিনি।

এনসিপির এই নেতা বলেন, ঐকমত্য কমিশন যাদের আহ্বান করেছে, দেশের শতভাগ মানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রতিনিধিত্ব তারা করতে পারছে না। যদি এসব রাজনৈতিক দল জন আকাঙ্ক্ষা নিয়ে আসতে পারত, তাহলে গণ-অভ্যুত্থানের আগে ৫৪ দল মিলে যে আন্দোলন করেছিল, সেটা ফলপ্রসূ হতো।

চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে তিন ধরনের অংশীজন ছিল উল্লেখ করে আরিফুল ইসলাম বলেন, সব রাজনৈতিক দল মিলে একটি স্টেকহোল্ডার, জনতা আরেকটি স্টেকহোল্ডার এবং সব শিক্ষার্থী মিলে আরেকটি স্টেকহোল্ডার ছিলেন। কিন্তু আলোচনায় শুধু রাজনৈতিক দলগুলো অংশ নিয়েছে।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থান শুধু কোনো রাজনৈতিক দলের চেষ্টায় হয়নি উল্লেখ করে এনসিপির এই নেতা বলেন, এখানে সব পেশাজীবী এবং জনতার অংশগ্রহণ ছিল, যাদের আসলে কোনো প্রতিনিধি নেই।

আরিফুল ইসলাম বলেন, ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় বিভিন্ন দলকে কোনো একটি বড় দলের সুপারিশে ডাকা হচ্ছে কিনা, সেটা নিয়ে তার দল জাতীয় নাগরিক পার্টির মধ্যে সন্দেহ রয়েছে। শুধু একটি দলের বক্তব্যের প্রতি এসব দলের হ্যাঁ অথবা না-বোধক সমর্থন থাকে। যখনই বিপরীত কোনো মন্তব্য আসে, তখন সেখানে হট্টগোলের চেষ্টা করা হয়।

জাতীয় সংসদে নারী আসন নির্ধারণের বিষয়ে এনসিপির মতামত তুলে ধরে আরিফুল ইসলাম বলেন, আমরা চাই, নারীদের আসন ভোটের মাধ্যমে নির্ধারিত হোক। তবে পদ্ধতি এবং সংখ্যা নিয়ে আলোচনা চলমান আছে।

সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ নিয়ে এনসিপির অবস্থান তুলে ধরে এই নেতা বলেন, আমরা ৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের পক্ষে ছিলাম। তবে ঐকমত্যের স্বার্থে অর্থবিল ও আস্থা ভোট বাদে অন্য বিষয়ে দলের বিপক্ষে ভোট দেওয়া যাবে বলে মত দিয়েছি আমরা।


পিএ/টিএ 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
‘দিলওয়ালে ২’ না বানানোর পক্ষে কাজল Jun 18, 2025
img
ইরানের সামরিক ঘাঁটিতে ইসরায়েলের বিমান হামলা Jun 18, 2025
img
দেশব্যাপী কর্মসূচিতে যাচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টি Jun 18, 2025
img
‘শনাক্ত করা যায় না’ এমন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করছে ইরান Jun 18, 2025
img
বাংলাদেশে ফিরছেন না মারুফ, নতুন দূত পাঠাচ্ছে ইসলামাবাদ Jun 18, 2025
img
জুলাই যোদ্ধাদের স্বীকৃতি ও কল্যাণে অধ্যাদেশ জারি Jun 18, 2025
img
ইসরায়েলের অভিযানের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী Jun 18, 2025
img
বিএনপির বিরুদ্ধে ভয়ংকর অপপ্রচার চলছে : রিজভী Jun 18, 2025
img
‘তাণ্ডব’ সিনেমা পাইরেসির মূলহোতা গ্রেফতার Jun 18, 2025
img
ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধে ট্রাম্প আরও পদক্ষেপ নিতে পারেন: জেডি ভ্যান্স Jun 18, 2025
img
নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ চাইলেন ট্রাম্প Jun 18, 2025
img
ইরানে বাংলাদেশ দূতাবাস কর্মকর্তার বাসায় হামলা চালালো ইসরায়েল Jun 17, 2025
img
হকিতে চীন ও পাকিস্তানের সাথে একই গ্রুপে বাংলাদেশ,নেই ভারত Jun 17, 2025
img
অস্ত্র ও সেনা পোশাকসহ দুই ভিসা প্রতারক আটক Jun 17, 2025
img
বাংলাদেশকে সহায়তা দেবে জাতিসংঘ: মিস গুইন Jun 17, 2025
img
ইরানের ভেতরে তিন তলাবিশিষ্ট ইসরাইলের ড্রোন কারখানা! Jun 17, 2025
img
রূপ আর ব্যাটে সমান আগুন, র‍্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে স্মৃতি Jun 17, 2025
img
ইরান বিষয়ে ট্রাম্পের সুর নরম! Jun 17, 2025
মাখোঁকে নিয়ে ট্রাম্পের তীব্র সমালোচনা! Jun 17, 2025
img
গলে ডাবল সেঞ্চুরির প্রত্যাশা, যা বললেন মুশফিক Jun 17, 2025