স্বর্ণের দামে উর্ধ্বগতি, কত দিন স্থায়ী হবে এই উত্থান?

স্বর্ণের দাম আবারও ধীরে ধীরে বাড়ছে। তবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) ক্রেতা ও বিনিয়োগকারীদের মনে এখন প্রশ্ন—এই প্রবণতা কি টিকে থাকবে, নাকি এটি সাময়িক একটি উত্থান?

ক্যাপিটাল ডটকমের সিনিয়র মার্কেট বিশ্লেষক ড্যানিয়েলা সাবিন হ্যাথর্ন বলছেন, “গত এক সপ্তাহে স্বর্ণের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে, কারণ ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা আবারও বিনিয়োগকারীদের আবেগে প্রভাব ফেলছে।” সহজ কথায়, বৈশ্বিক আতঙ্ক আবার ফিরে এসেছে—আর তার সঙ্গে সঙ্গে নিরাপদ সম্পদ হিসেবে স্বর্ণের গুরুত্বও ফিরে এসেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি হামলায় ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি কয়েক মাস পিছিয়ে পড়েছে—এই আশঙ্কা থেকেই বিনিয়োগকারীরা স্বর্ণের দিকে ঝুঁকছেন। যদিও সপ্তাহের মাঝামাঝি প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ৩,৩৮০ ডলারের কাছাকাছি স্থির ছিল, তবে এর আগে তা ৩,৪৪০–৩,৪৫০ ডলারের রেজিস্ট্যান্স জোনও ছুঁয়ে ফেলেছিল।

ভূরাজনীতির বাইরেও আরও কিছু কারণে স্বর্ণের দাম বাড়ছে। হ্যাথর্ন বলেন, “এ মুহূর্তে স্বর্ণের পক্ষে সবকিছুই কাজ করছে—বাণিজ্য, যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব নীতি এবং এখন ভূরাজনীতি।” তিনি আরও জানান, যদি যুক্তরাষ্ট্রে মুদ্রাস্ফীতি ধীর হয় এবং ডলারের দাম পড়ে, তাহলে স্বর্ণ আরও চাঙ্গা হতে পারে। কারণ সাধারণত দুর্বল ডলারের সময় স্বর্ণের দাম বাড়ে—এবং যেহেতু ইউএইতে দিরহামের মান ডলারের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত, তাই এতে স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের জন্য স্বর্ণ তুলনামূলকভাবে সস্তা হয়ে পড়ে।

হ্যাথর্ন বলছেন, স্বল্পমেয়াদে দাম আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। স্বর্ণের Relative Strength Index (RSI) আবারও ইতিবাচক অঞ্চলে ফিরে এসেছে, যা প্রবণতার পক্ষে ইঙ্গিত দেয়।

তবে এখনই বড় ধরনের মূল্যবৃদ্ধি আশা না করাই ভালো। যদি হঠাৎ করে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক আগ্রাসী নীতিতে ফিরে যায় বা কোনো বৈশ্বিক কূটনৈতিক সমঝোতায় উত্তেজনা কমে যায়, তাহলে স্বর্ণের চাহিদাও দ্রুত হ্রাস পেতে পারে।

আরআর/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
শ্বশুরের হাতে প্রাণ গেল পুত্রবধূর Oct 26, 2025
img
মালয়েশিয়া দিয়ে ট্রাম্পের ৫ দিনের এশিয়া সফর শুরু Oct 26, 2025
img
এমবাপের থেকে আরও বেশি কিছু চান রিয়াল কোচ আলোনসো Oct 26, 2025
img
নির্বাচন নিয়ে নতুন করে আইন তৈরি করা হয়েছে : মাসুদ কামাল Oct 26, 2025
img
আয়ারল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বড় ব্যবধানে কনোলির জয় Oct 26, 2025
img
যুদ্ধবিরতির পর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ গেল ৯৩ ফিলিস্তিনির Oct 26, 2025
img
জাতিসংঘ এখন কাজ করছে না, নিরাপত্তা পরিষদ অকার্যকর: লুলা Oct 26, 2025
img
জাতি মূল্যায়ন করবে আমরা কী করতে পেরেছি, কী পারিনি : ধর্ম উপদেষ্টা Oct 26, 2025
img
জিরাফ শূন্য হয়ে গেল গাজীপুর সাফারি পার্ক Oct 26, 2025
img
গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিতে কাজ করছে বিএনপি: সেলিম ভূঁইয়া Oct 26, 2025
img
বরুশিয়াকে ৩-০ গোলে হারিয়ে দাপুটে জয় বায়ার্ন মিউনিখের Oct 26, 2025
img
৩ দাবিতে ডাকসুর বিক্ষোভ ও রেজিস্ট্রার ভবন ঘেরাও আজ Oct 26, 2025
img
পাবনায় বাঁশবোঝাই ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ গেল ৩ জনের Oct 26, 2025
img
জুলাই হত্যাচেষ্টা মামলায় সাবেক পিপিকে আদালতে তোলা হবে আজ Oct 26, 2025
img
আজ ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী Oct 26, 2025
img

চানখারপুলে ছয় হত্যা

হাবিবুরসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে ১২তম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ Oct 26, 2025
img
স্বর্ণ কিনবেন? জেনে নিন আজকের বাজারে স্বর্ণের দাম Oct 26, 2025
img
বৃষ্টিহীন ঢাকায় আজও থাকবে গরমের দাপট Oct 26, 2025
img
গাজা শান্তি প্রক্রিয়ায় কাতারের ভূমিকায় ট্রাম্পের প্রশংসা Oct 26, 2025
img
মৌসুমের প্রথম এল ক্লাসিকোয় রাতে মুখোমুখি বার্সা-রিয়াল Oct 26, 2025