তৃতীয়বারের মতো টিকটক বিক্রির সময়সীমা বাড়ালেন ট্রাম্প


টিকটকের মূল কোম্পানি বাইটড্যান্স-কে যুক্তরাষ্ট্রে তাদের কার্যক্রম বিক্রির জন্য নতুন করে আরও ৯০ দিন সময় দিচ্ছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর আগে নির্ধারিত ১৯ জুন ছিল, তবে এখন নতুন করে টিকটক বিক্রির সময়সীমা বাড়িয়ে আবার সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত করা হয়েছে। হোয়াইট হাউস মঙ্গলবার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছে।

এই নিয়ে তৃতীয়বারের মতো টিকটক বিক্রির সময় বাড়ানো হলো। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চান না, টিকটক সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যাক। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট জানিয়েছেন, ট্রাম্প নতুন একটি নির্বাহী আদেশে সই করবেন, যাতে বিক্রির আগ পর্যন্ত অ্যাপটি চালু রাখা যায়।

তিনি বলেন, “আমরা চাই, ১৭ কোটির বেশি মার্কিন ব্যবহারকারী যেন নিরাপদে টিকটক ব্যবহার করতে পারে এবং তাদের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত থাকে।”

ট্রাম্প নিজেও স্বীকার করেছেন, টিকটক তার তরুণ ভোটারদের মধ্যে জনপ্রিয়তা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রেখেছে। এমনকি তিনি এয়ার ফোর্স ওয়নে সাংবাদিকদের বলেন, “সম্ভবত সময় বাড়াতে হবে। চীনের অনুমতি লাগবে, তবে আমি মনে করি আমরা তা পাব।”

এর আগে ২০২৪ সালে, চীনের ওপর নজরদারির অভিযোগে টিকটকের বিরুদ্ধে আইন পাস হয়, যেখানে বলা হয়—বাইটড্যান্স যদি যুক্তরাষ্ট্রের কোনো কোম্পানির কাছে টিকটক বিক্রি না করে, তাহলে অ্যাপটি সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হবে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তখন সেই আইনে স্বাক্ষর করেন। কিন্তু ট্রাম্প আইনটি প্রয়োগ না করে সময় বাড়ানোর পক্ষেই অবস্থান নেন।


এদিকে টিকটক বিক্রির প্রক্রিয়া শুরু হলেও চীন এখনো চুক্তিতে অনুমোদন দেয়নি। এর পেছনে রয়েছে ট্রাম্পের নতুন করে চীনের ওপর শুল্ক আরোপের হুমকি, যা চীনের আপত্তির অন্যতম কারণ।

ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সিনেটররা বলছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সময়সীমা বাড়ানোর কোনও আইনি ভিত্তি নেই। ফলে বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক ও আইনি বিতর্কও তৈরি হয়েছে।

টিকে/টিএ


Share this news on:

সর্বশেষ

img
বিএনপি সরকারে এলে জিডিপির ৫ শতাংশ শিক্ষা খাতে ব্যয় করবে : শামা ওবায়েদ Oct 11, 2025
img
জুলাই অভ্যুত্থানের পর সাংবাদিকদের অবারিত স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে: আজাদ মজুমদার Oct 11, 2025
img

সামান্তা শারমিন

শিক্ষা ব্যবস্থার সমস্যাগুলোকে আইডেন্টিফাই করতে হবে Oct 11, 2025
img
রোববার থেকে দেশে প্রথমবারের মতো টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু Oct 11, 2025
img
মাচাদোকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়ায় তীব্র নিন্দা ইরানের Oct 11, 2025
img
জামায়াত সৎ মানুষদের মনোনয়ন দিয়েছে : এটিএম আজহার Oct 11, 2025
img

জিল্লুর রহমানের বিশ্লেষণ

আবারও ভেল্কিবাজি, রাজনীতিতে কালো ছায়া Oct 11, 2025
img
যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পাল্টা পদক্ষেপ নিলো চীন Oct 11, 2025
img
গাজায় চালু হচ্ছে ব্যাংকিং কার্যক্রম Oct 11, 2025
অনুশীলনের মাঝেই ৬ কোটি টাকার ক্ষতি রোহিতের Oct 11, 2025
ব্যারিস্টার নুসরাতের হাতে আংটি পরালেন ইশরাক Oct 11, 2025
কি কারণে রাকসু নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন ক্রীড়া সম্পাদক প্রার্থী? Oct 11, 2025
নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে হলে ভিন্নমত বিশেষজ্ঞদের! Oct 11, 2025
চাকরি হারিয়ে যা বলছেন ব্যাংক কর্মকর্তারা! Oct 11, 2025
img
এনসিপি দ্বায়িত্বে এলে দুর্নীতিবাজদের মুখোশ উন্মোচন করা হবে: সারজিস Oct 11, 2025
img
৩ ট্রিলিয়ন ডলারের হালাল বাজারেও পিছিয়ে বাংলাদেশ Oct 11, 2025
img
আওয়ামী লীগকে দলে ভেড়াতে সব দল উঠেপড়ে লেগেছে : ডিআইজি পলাশ Oct 11, 2025
img
ফুটবল খেলা শেষ হতেই যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলায় নিহত ৪ Oct 11, 2025
img

প্রেস সচিব

প্রতিরক্ষা বাহিনীর আর কোনো সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার পরিকল্পনা নেই Oct 11, 2025
img
ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে মেসির না খেলার কারণ Oct 11, 2025