মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, ‘ইলিশ মাছের দাম ২০০০ টাকা কেজি হওয়া ঠিক হবে না। এই জাতীয় সম্পদকে সারা বিশ্বে মাত্র ১১টা দেশে পাওয়া যায়। তবে ইলিশ আমাদের সারা বিশ্বের কাছে একটা বিশেষ মর্যাদা দিয়েছে একে রক্ষা করা আমাদের জাতীয় কর্তব্য। জাতীয় মাছ ইলিশ রক্ষা শুধু মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের একার দায়িত্ব নয়; প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়েরও দায়িত্ব রয়েছে।’
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সকালে মৎস্য অধিদপ্তর আয়োজিত সিরডাপ মিলনায়তনে ‘জাটকা ও ইলিশ সংরক্ষণ বাস্তবায়ন ২০২৪-২৫-এর মূল্যায়ন ও ভবিষ্যৎ করণীয়’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
ইলিশের দাম নিয়ে জনসাধারণের উদ্বেগের কথা তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, ‘ইলিশের দাম বেশি বলেই আমাদের বিরক্ত হওয়া উচিত নয়। যখন কিছু ভালো হয়, তখন এর দাম একটু বেশি হয়। ভালো জিনিস দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য নয়, মাঝে মাঝে উপভোগ করা হয়।
ইলিশ আমাদের জাতির গর্ব এবং এটি রক্ষা করা আমাদের কর্তব্য। পদ্মা মেঘনার ইলিশের যে স্বাদ—এমন স্বাদ পৃথিবীর কোথাও নাই। অর্থাৎ একেক অঞ্চলের ইলিশ একেক স্বাদের হয়ে থাকে।’
তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন বিশেষ মূল্য নির্ধারণ করে ইলিশ বিক্রি করে উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারলে বাজারে এর একটা প্রভাব পড়বে। অহেতুক যেন ইলিশের দাম বাড়ানো না হয় সে জন্য আমি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ভোক্তা অধিকার এবং আড়তদারদের সাথেও আলোচনা করব ‘
কর্মশালায় বক্তারা উল্লেখ করেন যে ২০১৪ সালে শুরু হওয়া ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান বাংলাদেশের মৎস্য সম্পদ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। প্রজননকালে মৌসুমী নিষেধাজ্ঞা, জেলেদের বিকল্প জীবিকা নির্বাহের জন্য সহায়তা এবং ব্যাপক সচেতনতামূলক উদ্যোগের ফলে জাটকা মাছ ধরা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে এবং ইলিশ উৎপাদন উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুর রউফের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মো. তোফাজ্জেল হোসেন, অতিরিক্ত সচিব সৈয়দা নওয়ারা জাহান, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান ফারাহ শাম্মী, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক, মৎস্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন। এতে স্বাগত বক্তৃতা করেন মৎস্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মো. জিয়া হায়দার চৌধুরী, মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আহসান হাসিব খান।
কেএন/এসএন