জালিয়াতি ধরা পড়ার পরও প্রভাষক পদে বহাল সালমা

পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার জাল সনদ দিয়ে প্রভাষক পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে বর্তমানে নন-ক্যাডারের বেতন-ভাতা ভোগ করার অভিযোগ উঠেছে সালমা খাতুন নামে এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত শিক্ষিকা হাজি জামাল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের ভূগোল বিষয়ে প্রভাষক হিসেবে কর্মরত আছেন।

জানা গেছে, ২০১০ সালের ২৫ অক্টোবর এমপিওভুক্ত কলেজে নিয়োগ বোর্ডকে ম্যানেজ করে জাল নিবন্ধন সনদে সালমা খাতুন ভূগোল বিষয়ে প্রভাষক হিসেবে কলেজে যোগদান করেন। ২০১৪ সালে মন্ত্রণালয়ের অডিটে তাঁর জাল সনদ ধরা পড়ে।

অডিট কর্মকর্তার সুপারিশে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) সালমা খাতুনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার চিঠি দেন অধ্যক্ষকে। তখন সালমা খাতুন অধ্যক্ষকে ম্যানেজ করে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু ম্যানেজ করতে ব্যর্থ হয়ে চাকরি থেকে অব্যাহতি নেন। বিষয়টি গোপন রেখে কিছুদিন পরই স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য মকবুল হোসেন, অধ্যক্ষ ও নিয়োগ বোর্ডকে ম্যানেজ করে পুনরায় প্রভাষক পদে নিয়োগ নেন সালমা খাতুন।

এরপর মাউশি থেকে এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কলেজ অধ্যক্ষকে একাধিকবার (সর্বশেষ গত বছরের সেপ্টেম্বর) চিঠি পাঠালেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ। উপরন্তু কলেজ সরকারি হওয়ায় তিনি এখন নন-ক্যাডার প্রভাষক হিসেবে সরকারি বেতন ভোগ করছেন। তুলছেন বকেয়া বেতনও।

অভিযুক্ত প্রভাষক সালমা খাতুন বলেন, ‘আমি ২০১০ সালে প্রথম নিয়োগ পাই।

এরপর অডিটে আমার নিবন্ধন সনদ নিয়ে প্রশ্ন উঠলে আমি চাকরি থেকে রিজাইন দিই। পরে যথাযথ প্রক্রিয়ায় নতুন করে নিয়োগ পেয়েছি। এ ক্ষেত্রে কোনো অসুবিধা তো দেখি না।’

সালমা খাতুনের নিয়োগকালীন নিয়োগ বোর্ডের সদস্যসচিব ও অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. শহীদুজ্জামানের কাছে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কোনো কিছু বলতে পারবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন।

কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল লতিফ বলেন, ‘আমি দুই বছর আগে কলেজে যোগদান করে সালমা খাতুনকে সরকারি প্রভাষক হিসেবে পেয়েছি।

তাঁর নিয়োগ ও যোগদান বিষয়ে সব কিছু আগের অধ্যক্ষের আমলেই হয়েছে। এখন মাউশি চাইলে সালমা খাতুন সরকারীকরণ হলেও শাস্তি পেতে পারেন।’

মাউসির সহকারী পরিচালক (কলেজ-১) মুহাম্মদ সফিউল বশর বলেন, এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এফপি/ এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ইরানে সরকার পতন ‘আমাদের আনুষ্ঠানিক লক্ষ্য নয়’: নেতানিয়াহু Jun 20, 2025
img
থাই প্রধানমন্ত্রীর গোপন ফোনালাপ ফাঁস, জোটসঙ্গীর পদত্যাগ Jun 20, 2025
img
ইরানে ফের সরকার পতনের ছক Jun 20, 2025
img
ইসরায়েলের চ্যানেল ১৪ অফিস খালি করতে বলল ইরান Jun 20, 2025
img
একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়লো উত্তর কোরিয়া, প্রস্তুতি নিচ্ছে তুরস্ক Jun 20, 2025
img
এবার ইরানের পাশে থাকার ঘোষণা দিল হিজবুল্লাহ Jun 20, 2025
img
রোহিঙ্গা সমস্যার সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী বাংলাদেশ: তারেক রহমান Jun 20, 2025
img
ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কাঁপছে হাইফা ও তেল আবিব Jun 20, 2025
img
সৌদি আরবে আটকে পড়েছেন ১২ হাজার ৫০০ ইরানি হাজি Jun 20, 2025
img
জোরপূর্বক ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করানো হয়েছিল, অভিযোগ জুভেন্টাস তারকা ফুটবলারের Jun 20, 2025
img
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ওপর আস্থা রাখুন : ক্যারোলিন লেভিট Jun 20, 2025
img
দেশ ছেড়েছেন অভিনেত্রী মাহিয়া মাহি Jun 20, 2025
img
প্রতিপক্ষকে দুর্বল না ভেবে ঘরে ঘরে কাজ করতে হবে: এমরান সালেহ প্রিন্স Jun 20, 2025
img
আলেকজান্ডারও ইরানিদের পরাজিত করতে পারেনি : শি জিনপিং Jun 20, 2025
img
নেতানিয়াহু ২০০২ সালে যেমন ভুল ছিলেন, এখনও তেমনই করছেন : যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স Jun 20, 2025
img
ভুল মানুষের সাথে মূল্যবান অনুভূতি শেয়ার করলে, জীবনটা দুনিয়াতে দোজখ হয়ে যাবে : লায়লা Jun 20, 2025
img
ইরানে হামলার সিদ্ধান্তের আগে ২ সপ্তাহ সময় দিলেন ট্রাম্প Jun 20, 2025
img
কারাগারে ইডেনের সেই ছাত্রীকে বিয়ে করলেন নোবেল Jun 20, 2025
img
বিশ্বসেরা আকাশ প্রতিরক্ষাও ভেঙে ফেলেছে ইরান Jun 20, 2025
img
আগামী রোববার অর্থ মন্ত্রণালয়ে ব্লকেড কর্মসূচি ঘোষণা Jun 20, 2025