অবশেষে নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আবেদন করতে যাচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আগামীকাল রোববার (২২ জুন) আবেদন ফরম জমা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দলটির শীর্ষ নেতারা। আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের জন্য ইসির আবেদন গ্রহণের শেষ দিন।
গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী ছাত্র নেতাদের দল এনসিপির আত্মপ্রকাশ হয় গত ২৮ মে। এর চার মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও দলটি নিবন্ধনের জন্য ইসিতে আবেদন করেনি। এ অবস্থায় ঐক্যমত কমিশনসহ সরকারের সঙ্গে বৈঠকে দলটির প্রতিনিধিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলে কিছু কিছু দল।
নতুন দলটির সদস্য সচিব জানিয়েছেন, নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনের সকল শর্ত পূরণে সময় প্রয়োজন হয়। এমনকি জেলা-উপজেলায় কমিটি গঠনেরও প্রয়োজন হয়। এসব প্রক্রিয়া শেষ করে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে যাচ্ছে এনসিপি।
সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, দলের জেলা-উপজেলা কমিটি, অফিস ও কার্যকর অফিস এবং সদস্য ফরমের যে বাধ্যবাধকতা রয়েছে, এনসিপি এগুলো সব পূরণ করেছে। আমরা আশাবাদী—নিবন্ধন জমা দেওয়ার ব্যাপারে যেসব শর্ত পূরণ করার দরকার, সেগুলো করতে পেরেছি।
নির্বাচনী প্রতীকের প্রশ্নে তিনি আরও বলেন, মূলত আমরা ৫/৬টি প্রতীক ঠিক করেছি। আবেদন জমা দেওয়ার পরে গণমাধ্যমে সেটা প্রকাশ করতে চাই।
যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, আপনার চোখে নতুন ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে অনেক প্রতীকের পরামর্শ এসেছে। যেমন কলম, বইসহ বিভিন্ন প্রতীক রয়েছে। আমাদের রেজিস্ট্রেশন দল যাচাই-বাছাই করছে। শেষ মুহূর্তে হয়তো চূড়ান্ত করা হবে।
দলটির স্থায়ী ঠিকানার ব্যাপারে আখতার বলেন, এনসিপি ও রূপায়ন টাওয়ারের মালিকপক্ষের মধ্যকার এক বছরের জন্য চুক্তির আওতায় ভবনটি এনসিপির অফিস হিসেবে বিবেচিত হবে।
অন্যদিকে আদীব বলেন, রূপায়ন টাওয়ারের একটি ফ্লোর আমরা চুক্তিবদ্ধ করেছি। নিবন্ধনের জন্য এক বছরের চুক্তি করা হয়েছে।
এরই মধ্যে এনসিপি সাধারণ সভার মাধ্যমে খসড়া গঠনতন্ত্রের অনুমোদন দিয়েছে। জাতীয় কাউন্সিলের মাধ্যমে দলটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হবেন। দলটির জাতীয় কাউন্সিলে এনসিপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা, জেলা ও সমমর্যাদার ইউনিটের ৫ জন, থানা পর্যায় থেকে ২ জন করে সদস্য হবেন। তারাই ভোটের মাধ্যমে এনসিপির দুই শীর্ষ নেতৃত্ব বাছাই করবেন।
এসএন