কসমেটিক সার্জারির জটিলতায় তুরস্কে ইনফ্লুয়েন্সারের মৃত্যু

তুরস্কে একটি ভুল কসমেটিক সার্জারির কারণে এবার প্রাণ হারিয়েছেন ব্রাজিলের জনপ্রিয় গায়িকা ও সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাবশালী মডেল আনা বারবারা বুহর বুলড্রিনি। মৃত্যুর আগে এই মডেল অস্ত্রোপচারের আগের রাতে নিজের চিকিৎসকের সঙ্গে পার্টিতে মদ্যপ অবস্থায় সময় কাটিয়েছিলেন বলে জানা গেছে। বিষয়টি নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে আন্তর্জাতিক মিডিয়ায়।

ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে বলা হয়, রবিবার (১৫ জুন) স্তন বৃদ্ধির অস্ত্রোপচার, লাইপোসাকশন ও নাকের গঠন পরিবর্তনের মতো তিনটি বড় ধরনের প্রসাধনমূলক অস্ত্রোপচারের কয়েক ঘণ্টা পর আনার মৃত্যু হয়। ৩১ বছর বয়সী আনা তার স্বামী শিল্পী এলগার মাইলসের সঙ্গে মোজাম্বিক থেকে ইস্তাম্বুলে এসেছিলেন। তার স্বামী স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, হাসপাতালটির প্রচারণার বিনিময়ে আনা বিনামূল্যে সার্জারির সুযোগ পেয়েছিলেন।

শুক্রবার (১৩ জুন) ইস্তানবুলে পৌঁছানোর পর শনিবার রাতে আনা, তার স্বামী ও সার্জন একসঙ্গে পার্টি করেন এবং সেখানে মদ্যপান করেন বলে জানা যায়। মাইলস জানান, অস্ত্রোপচারের তারিখ মূলত নির্ধারিত ছিল বুধবার, যাতে পর্যাপ্ত সময় নিয়ে আনা সুস্থ হতে পারেন। তবে সময়সূচি নিয়ে জটিলতার কারণে চিকিৎসক তা এগিয়ে রবিবার করে দেন। মাইলস বলেন, ‘আমরা ক্লিনিকে গিয়েছিলাম জায়গাটা দেখতে, কিন্তু চিকিৎসক তখনই অস্ত্রোপচার করতে চান, যদিও আনা তখনও প্রস্তুত ছিলেন না।’

রবিবার রাতে আনার তিনটি অস্ত্রোপচার হয় তুরস্কের তুসা হাসপাতালে। রাত ১১টার দিকে তিনি অপারেশন থিয়েটার থেকে বের হন। কিন্তু এরপর থেকেই তার হৃদস্পন্দন ধীর হতে শুরু করে। তার স্বামী বলেন, ‘আমি ওকে রিসিভ করতে অপেক্ষা করছিলাম। সহকারীদের আচরণ অদ্ভুত ছিল। পরে জানতে পারি, তার হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে গেছে।’

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সমস্ত প্রক্রিয়ার জন্য আনা চিকিৎসা সম্মতি ফর্মে স্বাক্ষর করেছিলেন। তবে অপারেশনের পর ‘অপ্রত্যাশিত জটিলতা’ দেখা দেয়, যার ফলে ‘ভেন্ট্রিকুলার ফাইব্রিলেশন’ (হৃদযন্ত্রের অস্বাভাবিক স্পন্দন) হয় এবং আনা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এক বিবৃতিতে তুসা হাসপাতাল জানিয়েছে, আমাদের বিশেষজ্ঞ অ্যানেস্থেসিওলজি টিমের সর্বোচ্চ চেষ্টা সত্ত্বেও রোগীকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। মৃত্যুর পেছনে চিকিৎসকের অবহেলা ছিল কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ইউটি/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
বিমান দুর্ঘটনার পর শাস্তির মুখে এয়ার ইন্ডিয়ার সিনিয়র কর্মকর্তারা Jun 21, 2025
img
কেজিএফ এর আলো পেরিয়ে অভিনেত্রী শ্রীনিধির শেঠি নতুন লড়াই Jun 21, 2025
img
কাদের সিদ্দিকী আপাদমস্তক দেশের শত্রু : ব্যারিস্টার ফুয়াদ Jun 21, 2025
img
সবার আগে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ করা উচিত : মাসুদ কামাল Jun 21, 2025
img
চলতি বছরে একদিনে সর্বোচ্চ ডেঙ্গু রোগী ভর্তির রেকর্ড Jun 21, 2025
ইরানের পর লক্ষ্য পাকিস্তান, সাবেক ইসরায়েলি মন্ত্রীর হুমকি! Jun 21, 2025
img
হলুদ পাগড়িতে অজয়ের নতুন লুক, ঝড় তুলবে ‘সন অফ সরদার ২’ Jun 21, 2025
img
সিদ্ধান্তে অনড় ঢামেক শিক্ষার্থীরা, হল ত্যাগ না করার ঘোষণা Jun 21, 2025
img
জীবনকে শৃঙ্খলাবদ্ধ রাখতে সাহায্য করেছে যোগ ব্যায়াম: ঊষসী চক্রবর্তী Jun 21, 2025
img
‘নির্বাচনের মাঠে আসুন, পরীক্ষা হবে’ Jun 21, 2025
img
গল টেস্ট : বাংলাদেশ - শ্রীলঙ্কা প্রথম টেস্ট ড্র Jun 21, 2025
img
অভিনেতার একটি ভুলেই শেষ হয়ে গিয়েছিল সুজান-হৃতিকের সংসার Jun 21, 2025
img
ব্রিটিশ গণমাধ্যমে নতুন আভাস, কোন ক্লাবে যাচ্ছেন এমি মার্তিনেজ Jun 21, 2025
img
জ্যোতিষীর ওপর অন্ধবিশ্বাসেই ছন্দপতন গোবিন্দর ক্যারিয়ারে Jun 21, 2025
img
ভুল ধরলেই আপনি জামায়াত-শিবির ট্যাগ খাবেন : সারজিস Jun 21, 2025
‘ডক্টর ইউনূস ঘরে ঘরে ঝগড়া লাগিয়ে দিয়েছেন’ Jun 21, 2025
যে কারণে এনবিআর ও বিডা এলাকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ Jun 21, 2025
img
সকাল সাড়ে এগারোটার আগে যে কাজ করেন না শুভশ্রী Jun 21, 2025
img
চাহালের ঘনিষ্ঠতায় ক্যারিয়ার গড়ার ট্রলের জবাব দিলেন মাহভাশ Jun 21, 2025
img
টেলর সুইফট: ন্যাশভিল কিশোরী থেকে আজকের ‘পপ কুইন’ Jun 21, 2025