সংস্কার ছাড়া কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে চারটি জোট ও ৩৫টি রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গঠিত ‘জাতীয় সংস্কার জোট’। শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত ‘জুলাই সনদ, সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন’ শীর্ষক আলোচনাসভায় জোটের নেতা এ কথা বলেন।
তারা বলেন , ‘জুলাই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সবাই মিলে ফ্যাসিস্টদের বিদায় করেছি। এখানে কোনো বিভাজন করা ঠিক হবে না।তাই আগে সংস্কার, পরে নির্বাচন।’
বক্তারা বলেন , ‘আমরা বিগত দিনে ফ্যাসিস্ট সরকারকে দেখেছি। ভবিষ্যতেও যারা ক্ষমতায় আসবে, তারা সুশাসনের নামে অতীতের কাজগুলো করবে। কোটি কোটি টাকা দিয়ে মনোনয়ন কিনবে দুর্নীতিবাজ ও দখলবাজরা।
তবে নির্বাচনকে আমরা নিয়ন্ত্রণ করব, সেই জায়গায় পৌঁছাতে না পারলে পরিবর্তন আসবে না।’
বক্তারা আরো বলেন , ‘নির্বাচন কখনো গণতন্ত্র দিতে পারবে না; যদি না আমরা সচেতন হই। আমরা প্রজা নাকি নাগরিক; সেটি আগে ঠিক করতে হবে। একটি দল নির্বাচনের জন্য উঠে-পড়ে লেগেছে।
কিন্তু সংস্কারবিহীন নির্বাচন আমরা চাই না। আজকে সময় আসছে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার। বর্তমান বাংলাদেশের অবস্থা ফ্যাসিস্টদের আমলের চেয়েও ভয়াবহ। আগে টাকা দিতে হতো একজনকে। এখন টাকা দিতে হয় অনেকজনকে।দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য নেই। জুলাই আন্দোলন যে উদ্দেশ্যে হয়েছিল, তার সব কিছু উল্টো হচ্ছে। দেশ গভীর সংকটময় মুহূর্ত পার করছে।’
জাতীয় সংস্কার জোটের আহ্বায়ক মেজর আমীন আহমেদ আফসারীর (অব.) সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেশনালের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক লে. জেনারেল আমিনুল করিম (অব.), জনতার দল বাংলাদেশের নির্বাহী চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী গোলাম সরোয়ার মিলন, নৈতিক সমাজের সভাপতি মেজর জেনারেল আ ম সা আ আমিন (অব.), জনতার পার্টি বাংলাদেশের মহাসচিব শওকত মাহমুদ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান শেখ সালাউদ্দিন সালু, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা প্রমুখ।
কেএন/টিকে