বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন বলেছেন, "বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার শিক্ষা ব্যবস্থাটাকে সমূলে ধ্বংস করে গেছে। খাতায় শিক্ষার্থীরা না লিখলেও তাদের পাশ করাতে হয়েছে। না হলে শিক্ষকের চাকরি চলে যেতো।"
তিনি বলেন, "কারিকুলামে অবাঞ্ছিত, মিথ্যা ও নগ্ন দলীয়করণের মাধ্যমে অনেক ভুল তথ্য অন্তর্ভুক্তি করা হয়েছিলো। ফলে দেশের শিক্ষার মানও কমে গেছে।"
শনিবার রাজশাহী নগরীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে বিভাগীয় কিন্ডারগার্টেন অ্যান্ড স্কুল এসোসিয়েশনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শফিকুল হক মিলন বলেন, "শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড। শিক্ষা ছাড়া কোন জাতি উন্নতির শিখরে উঠতে পারেনা।"
তিনি বলেন, "বিগত পতিত সরকার, প্রতিবছর সিলেবাস পরিবর্তন করে পুস্তক ব্যবসায়ী ও প্রস্তুতকারকদের লাভবান করেছে। সেইসাথে লাভবান হয়েছে এর সঙ্গে বিগত সরকারের এমপি, মন্ত্রী, আমলা ও দলীয় লোকজনরা।"
তিনি বলেন, "দেশের কিন্ডারগার্টেনগুলো শুধু সরকারের স্বাক্ষরতা কার্যক্রমের অংশীদার হয়ে স্বাক্ষরতার হার বৃদ্ধি করছে না, বরং বেকারত্ব কমাতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। এ সব প্রতিষ্ঠানে শত শত নারী-পুুরুষ শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।"
মিলন বলেন, "বিএনপি সর্বদা শিক্ষাবান্ধব। বিএনপির আমলে মেয়েদের শিক্ষা অবৈতনিক করা হয়েছিল। আগামীতে বিএনপি সরকার পরিচালনার দায়িত্ব পেলে কিন্ডারগার্টেন সমূহকে নিবন্ধনের আওতায় আনার চেষ্টা করবে।"
রাজশাহী বিভাগীয় কিন্ডারগার্টেন অ্যান্ড স্কুল এসোসিয়েশনের সভাপতি আলতাফ হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন পবা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ, আব্দুস সালাম মাস্টার, পবা উপজেলা যুবদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক তাইজুল ইসলাম, সাবেক সদস্য মাজদার রহমান, প্রচেষ্টা শিশু নিকেতনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহজামান প্রমুখ।
কেএন/টিকে
