প্রতিনিয়ত নিত্য-নতুন রেকর্ডের স্বাক্ষী হচ্ছে ক্রিকেটবিশ্ব। তবে তিন সেঞ্চুরি সত্ত্বেও সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড করার কথা হয়তো খুব বেশি মানুষের জানা নেই। তেমনই রেকর্ড গড়ল শুভমান গিলের ভারত। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চলমান হেডিংলি টেস্টের প্রথম ইনিংসে তারা ৪৭১ রান করেছে। তিনটি ব্যক্তিগত সেঞ্চুরি দেখা দলটি শেষ ৭ উইকেট হারায় ৪১ রানে। আর তাতেই বিরল এক রেকর্ডের খাতায় সবার ওপরে ভারত।
টেস্টে তিন ব্যাটারের সেঞ্চুরির পর কোনো দলের সর্বনিম্ন রানের নজির ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। ২০১৬ সালে তারা ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ব্যাটারের সেঞ্চুরিতে ৪৭৫ রান করেছিল। যাকে ছাড়িয়ে গেছে ভারত। তিনজনের সেঞ্চুরিতে দলীয় পুঁজি ৫০০ রান ছাড়িয়ে যাবে বলেই স্বাভাবিক মনে হতে পারে। ভারতও সেই পথেই ছিল, বিশেষ করে ঋষভ পান্তের ঝড়ের গতিতে সেঞ্চুরির পর তা না হওয়াই বরং অস্বাভাবিক। তবে নাটকীয় ধসের পর ভারত থামল খুব দ্রুতই।
তিন সেঞ্চুরির পাশাপাশি একই ইনিংসে তিন ব্যাটারের শূন্য রানে আউট হওয়ার রেকর্ডও গড়েছে শুভমানের দল। যদিও তারাই প্রথম নয়, ১৪৮ বছরের টেস্ট ইতিহাসে একই ইনিংসে তিন সেঞ্চুরি ও তিন শূন্য’র নজির দেখা গেছে পাঁচবার। ভারতের হয়ে সেঞ্চুরি করেছেন ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল (১০১), অধিনায়ক গিল (১৪৭) ও সহ-অধিনায়ক পান্ত (১৩৪)। আর শূন্য রানে আউট হওয়া প্রথম ব্যক্তি টেস্টে অভিষেক হওয়া সাই সুদর্শন। এ ছাড়া ৮ বছর পর দলে ফেরা করুন নায়ার ও জাসপ্রিত বুমরাহ–ও ব্যক্তিগত রানের খাতা খুলতে পারেননি।
তবে তিন সেঞ্চুরি ও তিনজনের ডাক নিয়ে আউট হওয়ার এমন ঘটনা ইংল্যান্ডের মাটিতে এবারই প্রথম ঘটেছে। যদিও প্রথমবার তিন সেঞ্চুরির পাশাপাশি তিন শূন্য এসেছিল ইংলিশদের হাত ধরে। ১৯৩২ সালে তারা অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিডনিতে সেই নজির তৈরি করেছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজ একই দৃশ্য মঞ্চায়ন করে ৭০ বছর পর। ২০০২ সালে তারা কলকাতায় ভারতের বিপক্ষে ওই টেস্ট খেলেছিল। ২০২৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আফগানিস্তানের রহমত শাহ ও হাশমতউল্লাহ শহিদির ডাবল এবং আফসার জাজাই সেঞ্চুরি করার পর তাদের তিন সতীর্থ শূন্য রানে আউট হন।
এদিকে, ভারতের করা ৪৭১ রানের পর প্রথম ইনিংসে ব্যাট করছে ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় দিন শেষে তাদের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ২০৯ রান। ওপেনার বেন ডাকেট ৬২ রান করে আউট হলেও বরাবর ১০০ রানে অপরাজিত আছেন ওলি পোপ। ইংলিশদের তিনটি উইকেটই নিয়েছেন বুমরাহ। এর আগে ভারতের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৪টি করে শিকার ধরেন অধিনায়ক বেন স্টোকস ও জশ টাং।
পিএ/এসএন