তিন সেঞ্চুরিতে ভারতের গড়া বড় স্কোরের জবাব দিতে নেমে প্রথম ওভারেই জ্যাক ক্রাওলিকে হারায় ইংল্যান্ড। জাসপ্রিত বুমরাহ ভারতকে দ্রুত উইকেট এনে দেন। এরপর অবশ্য বেন ডাকেটের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় ইংলিশরা।
স্ট্রোকের ফুলঝুরিতে ভারতের বোলারদের নাকানিচুবানি খাওয়াচ্ছিলেন এই বাঁহাতি। উইকেটের খোঁজে অধিনায়ক শুভমান গিল ফের বুমরাহর শরণাপন্ন হলেন। অধিনায়কের আস্থার জবাব দিয়েছেন বিশ্বের সেরা ফাস্ট বোলারও। ডাকেটকে বোল্ড করে ভেঙেছেন জুটি। আর তাতেই জায়গা করে নিয়েছেন রেকর্ড বুকে।
শনিবার (২১ জুন) হেডিংলি টেস্টের দ্বিতীয় দিনে ব্যাট করছে ইংল্যান্ড। এই প্রতিবেদন লেখার সময় ইংলিশরা ৬০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রান সংগ্রহ করেছে। ওলি পোপ ১০৩ বলে ৮০ রানে ব্যাট করছেন। জো রুটের সংগ্রহ ৪১ বলে ১৭ রান।
প্রথম ওভারে ৪ রান করা ক্রাওলিকে বিদায় করে ভারতকে দারুণ শুরু এনে দেন বুমরাহ। সেই সঙ্গে সঙ্গী হন ওয়াসিম আকরামের। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে বেন ডাকেট ও ওলি পোপ ১২২ রানের জুটি গড়েন। এই জুটিও ভাঙেন বুমরাহ। ৯৪ বলে ৯ চারে ৬২ রান করা ডাকেটকে বোল্ড করেন বুমরাহ। আর তাতেই দারুণ এক রেকর্ডের মালিক বনে যান ভারতের এই ডানহাতি ফাস্ট বোলার। পেছনে ফেলেন ওয়াসিমকে।
দক্ষিণ আফ্রিকা-ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়াকে একত্রে বলা হয় এসইএনএ (SENA) কান্ট্রি। এই চার দেশে এতদিন পর্যন্ত এশিয়ান বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের রেকর্ড ছিল পাকিস্তানের কিংবদন্তি পেসার ওয়াসিম আকরামের। কিন্তু ডাকেটকে আউট করে ওয়াসিমকে পেছনে ফেলেছেন বুমরাহ। এসইএনএ কান্ট্রিতে এশিয়ান বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক এখন বুমরাহই।
এই চার দেশে ৬০ ইনিংসে বুমরাহ শিকার করেছেন ১৪৭ উইকেট। ওয়াসিম আকরাম ৫৫ ইনিংসে ১৪৬ উইকেট শিকার করে এখন দুই নম্বরে।
তিন নম্বরে আছেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক অনিল কুম্বলে। এই লেগ স্পিনার ৬৭ ইনিংসে শিকার করেছেন ১৪১ উইকেট। পরের স্থান দুটিতেও ভারতের দুই ফাস্ট বোলার অবস্থান করছেন। ৭১ ইনিংসে ১৩০ উইকেট শিকার করে চারে ইশান্ত শর্মা, আর ৬৩ ইনিংসে ১২৩ উইকেট নিয়ে পাঁচে মোহাম্মদ শামি।
এসইএনএ কান্ট্রিতে রান করার দিক দিয়েও ভারতীয়দের আধিপত্য। এই চার দেশে ৫৩৮৭ রান করে শীর্ষে আছেন শচীন টেন্ডুলকার। ওয়াসিমকে পেছনে ফেলে বুমরাহ শীর্ষ উইকেট শিকারি বনে যাওয়ায় এখন দুই বিভাগেই ভারতের আধিপত্য।
আরআর