একটা সময় ছিল যখন অভিনেত্রীরা নির্দিষ্ট ইন্ডাস্ট্রির গণ্ডিতেই সীমাবদ্ধ থাকতেন। কিন্তু সময় বদলেছে। এখনকার নায়িকারা শুধু ভাষা ভেঙে বেরিয়ে আসেননি, তাঁরা ইন্ডাস্ট্রি ভেদ করে স্টারডমের সংজ্ঞাই বদলে দিয়েছেন। যেমনটা করেছেন রাশমিকা মন্দানা, তেমনি আরও এক ঝাঁক প্রতিভাবান অভিনেত্রী যাঁরা একাধিক ভাষার সিনেমায় নিজের জায়গা করে নিয়েছেন—দর্শকের হৃদয়ে ও বক্স অফিসে।
আলিয়া ভাট শুরুটা করেছিলেন মুম্বাই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে। ‘রাজি’, ‘গালি বয়’, ‘গাঙ্গুবাই কাঠিয়াওয়াড়ি’ বা ‘ডার্লিংস’-এর মতো ছবিতে অভিনয় করে বলিউডে নিজের এক আলাদা অবস্থান তৈরি করেছেন। কিন্তু আসল বিস্ময় এসেছে রাজামৌলির ‘আরআরআর’-এ অভিনয় করে। দক্ষিণ ভারতের দর্শকদের কাছেও হয়ে উঠেছেন আপন।
মৃণাল ঠাকুর সেই বিরল উদাহরণ, যিনি টেলিভিশন থেকে সরাসরি সিনেমায় সফল রূপান্তর করেছেন। হিন্দিতে যেমন ‘সুপার ৩০’ বা ‘জার্সি’-তে প্রশংসিত, তেমনি দক্ষিণে ‘সীতা রামম’ বা ‘হাই নান্না’র মতো আবেগঘন ছবিতে ছুঁয়ে গেছেন মন। এখন তিনি ইন্ডাস্ট্রি-ভেদে অন্যতম ব্যস্ত ও পছন্দের মুখ।
পূজা হেগড়ে হলেন বাণিজ্যিক সাফল্যের আরেক নাম। ‘আলা বৈকুণ্ঠপুরামুলু’ থেকে শুরু করে ‘ডিজে’, ‘বিস্ট’ বা ‘কিসি কা ভাই কিসি কি জান’—তিন ভাষাতেই তাঁর কাজ জনপ্রিয়। সৌন্দর্য আর তারকাখচিত অ্যাপিলের নিখুঁত ভারসাম্য তাঁকে করে তুলেছে বহুভাষিক ইন্ডাস্ট্রির প্রিয় মুখ।
সামান্থা রুথ প্রভু অভিনয় করেছেন দক্ষিণের অন্যতম হিট ছবি ‘রঙ্গস্থলম’, ‘থেরি’, ‘কুশি’-তে। আর ওয়েব দুনিয়ায় ‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান ২’ দিয়ে জাতীয় পরিচিতি পেয়েছেন। তিনিই এখন ওটিটির অন্যতম সেনসেশন, সিনেমারও ‘ফ্যান ফেভারিট’।
নয়নতারা হলেন দক্ষিণের এক অবিসংবাদী শক্তি। ‘লেডি সুপারস্টার’ উপাধিটা কেবল মুখে মুখে নয়—তিনি সেই সম্মান অর্জন করেছেন তামিল, তেলুগু ও মালায়লাম—তিন ভাষার দাপুটে নায়িকা হয়ে। আর শাহরুখ খানের বিপরীতে ‘জওয়ান’-এ বলিউড অভিষেক দিয়ে প্রমাণ করেছেন, স্টারডম তাঁর চূড়ান্ত পরিচয় নয়—তিনি নিজেই একটি ব্র্যান্ড।
এঁরা শুধু ভাষা ভেঙে কাজ করেননি, তাঁরা সংস্কৃতি ও দর্শকের আবেগকেও এক সুতোয় গেঁথেছেন। তাঁরা দেখিয়েছেন—চরিত্রের গভীরতা, অভিনয়ের সততা আর কাজের প্রতি নিষ্ঠা থাকলে ভাষা কোনো বাধাই নয়। অভিনয়ই শেষ কথা।
এসএন