সারাবিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগ আইপিএল। টুর্নামেন্টের এবারের আসরে ইতিহাস গড়ে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। এরপর ঘরের মাঠ এম. চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে সমর্থকদের সামনে ট্রফি নিয়ে উদযাপনে নেমেছিল বিরাট কোহলিরা। তবে বেঙ্গালুরুর সেই বিজয় উৎসব মুহূর্তেই রূপ নেয় বিষাদে।
গত ৪ জুন বেঙ্গালুরুর জয় উদযাপন করতে স্টেডিয়ামের সামনে হাজির হয়েছিলেন দলটির লাখো ভক্ত। আর সেখানেই পদদলিত হয়ে ১১ বেঙ্গালুরু ভক্ত নিহত ও প্রায় ৫০ জন আহত হয়েছিলেন। বেঙ্গালুরুর সেই ঘটনায় মাঝপথেই বন্ধ করে দিতে হয়েছিল উৎসব। ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা এড়াতে বেশ কিছু নির্দেশনা জারি করতে যাচ্ছে বিসিসিআই।
ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের (বিসিসিআই) সচিব দেবজিৎ শাইকিয়া জানিয়েছেন, বেঙ্গালুরুর মতো দুর্ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে চায় বিসিসিআই। তাই সম্ভাব্য সব দিক মাথায় রেখে কিছু নির্দেশনা ঠিক করা হয়েছে। যা মেনে চলতে হবে আইপিএলের দলগুলোকে।
এর আগে বেঙ্গালুরুর দুর্ঘটনার পর এ ধরনের অনুষ্ঠানে সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিসিসিআই তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছিল। সেই কমিটির সুপারিশ মেনেই তৈরি করা হয়েছে নির্দেশিকা। বিষয়টি চূড়ান্ত হলেই আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করা হবে।
প্রস্তাবিত ১০ দফা নির্দেশনাগুলো হল-
১) ট্রফি জেতার ৩-৪ দিনের মধ্যে কোনও দল বিজয় উৎসব পালন করতে পারবে না।
২) তাড়াহুড়ো করলে এবং যথাযথ পরিকল্পনা না থাকলে অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুমতি দেওয়া হবে না।
৩) বিজয়ী দলকে বিসিসিআইয়ের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে অনুমতি নিতে হবে।
৪) বোর্ডের আগাম লিখিত অনুমতি ছাড়া এ রকম কোনও অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যাবে না।
৫) চার থেকে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
৬) অনুষ্ঠান স্থল এবং যাতায়াতের পথে বহুস্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
৭) বিমানবন্দর থেকে অনুষ্ঠানস্থল পর্যন্ত যাত্রাপথ-সহ দলের সব যাত্রাপথে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে।
৮) বিজয়ী দলের ক্রিকেটার এবং সাপোর্ট স্টাফদের জন্যও পর্যাপ্ত নিরাপত্তা রাখতে হবে অনুষ্ঠানের সব অংশে।
৯) জেলা পুলিশ, স্থানীয় প্রশাসন এবং রাজ্য সরকারের অনুমতি ছাড়া কোনও অনুষ্ঠান করা যাবে না।
১০) আইন মেনে এবং নিরাপদে অনুষ্ঠান সম্পন্ন করার জন্য প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরকে আগে নিজেদের পরিকল্পনার কথা জানাতে হবে।
কেএন/টিকে