দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ গঠনের প্রস্তাব নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এখনো ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু। শনিবার রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, ঐকমত্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ হলে রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন তিনি।
মঞ্জু অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক আলোচনায় কিছু দল নিজেদের ‘অটোমেটিকভাবে’ সরকারপক্ষ হিসেবে ধরে নিচ্ছে, যা গঠনমূলক সংলাপের পথে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার ভাষায়, ‘কেউ না কেউ মনে করছেন, উনি অলরেডি গভর্নমেন্ট পার্টি।
ফলে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ প্রস্তাব বাস্তবায়নে তাদের নির্বাহী ক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে বলে ধরে নিয়েছেন তারা।’
সংসদে নারীদের সংরক্ষিত আসন নিয়ে মঞ্জু জানান, নারী নেতৃত্বে বিশেষায়িত আসনের বরাদ্দ দিয়েও কাঙ্ক্ষিত প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা যায়নি।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা দেখেছি, যারা প্রার্থী হতে পারেননি, তাদের স্ত্রী কিংবা পরিচিত শিল্পীদের নারী আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এতে করে নারী নেতৃত্বের প্রকৃত বিকাশ ঘটছে না।’
দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ ব্যবস্থার মাধ্যমে রাজনৈতিক ভারসাম্য রক্ষার সুযোগ থাকলেও একে কেউ কেউ কৌশলগতভাবে জোট ম্যানেজমেন্টের হাতিয়ার হিসেবে দেখছেন বলেও মন্তব্য করেন মঞ্জু।
তিনি বলেন, ‘অনেকেই মনে করেন, যাদের সাধারণ নির্বাচনে সুযোগ নেই, তাদের আপার হাউসে নিয়ে আসা যাবে। এটা যদি হয়, তাহলে তো এই প্রস্তাব অর্থহীন হয়ে যাবে।’
এবি পার্টির চেয়ারম্যান আরো বলেন, বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি কার্যত আলোচনা প্রক্রিয়ায় নিরাপত্তা পরিষদের মতো আচরণ করছে।
আমরা বলি জেনারেল অ্যাসেম্বলি, ওনারা বলেন সিকিউরিটি কাউন্সিল। আমরা যত কথাই বলি, বিএনপি আপত্তি দিলে কমিশনার এগোতে পারে না।’
এমন পরিস্থিতিতে মঞ্জু বিকল্প প্রস্তাবও রেখেছেন। তার মতে, বড় বৈঠকের বাইরে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির সঙ্গে সাইডলাইন আলোচনা হতে পারে।
এ ছাড়া তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ প্রস্তাবের সফল বাস্তবায়ন না হলে দেশ আবার পুরনো রাজনৈতিক অচলাবস্থার দিকেই ফিরে যাবে।
এফপি/ এসএন