প্রায় সমান পাল্লায় লড়ছে ভারত ও ইংল্যান্ড। যদিও দ্বিতীয় দিন শেষে স্বাগতিক ইংলিশরা ২৬২ রানে পিছিয়ে আছে। তিন সেঞ্চুরিতে ভারত প্রথম ইনিংসে করে ৪৭১ রান। বিপরীতে বেন স্টোকসের দলের এখন পর্যন্ত সংগ্রহ ৩ উইকেটে ২০৯ রান। ম্যাচটিতে ভারতের তৃতীয় সেঞ্চুরিয়ান ঋষভ পান্ত প্রশংসিত হচ্ছেন তার ব্যাটিং কৌশলের কারণে। এমনকি প্রতিপক্ষ বোলারদের বিভ্রান্ত করতে হিন্দি ভাষায় ‘গুগলি’ দিয়ে বাহবা পাচ্ছেন কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারের কাছ থেকে।
হেডিংলি টেস্টের প্রথম দিনেই দুটি ব্যক্তিগত সেঞ্চুরি পেয়েছে ভারত। ওপেনার যশস্বী জয়সওয়ালের ইতিহাসগড়া ১০১ রানের পর শুভমান গিলও ম্যাজিক ফিগার পূর্ণ করেন। দ্বিতীয় দিনও লম্বা সময় পান্তকে সঙ্গ দেওয়া ভারতীয় অধিনায়ক থামেন ১৪৭ রানে। আর ইংলিশদের হতাশা বাড়িয়ে সর্বশেষ সেঞ্চুরি করেন পান্ত। ১২ চার ও ৪ ছক্কায় তিনি ১৩৪ রান করেন। ভারতের উইকেটকিপার হিসেবে সবচেয়ে বেশি টেস্ট সেঞ্চুরির রেকর্ড এতদিন মহেন্দ্র সিং ধোনির সঙ্গে ভাগাভাগি করছিলেন, কাল তাকেও ছাড়িয়ে গেলেন পান্ত।
২৭ বছর বয়সী ক্রিকেটার এবার রেকর্ডটি নিজের করে নিলেন সপ্তম সেঞ্চুরি করে। ৯৯ রানের পরে শোয়েব বশিরকে ছক্কা মারতে বেরিয়ে এলেন। এক হাতে ছক্কা মারলেনও। এরপর দুই হাত মাটিতে নামিয়ে শূন্যে লাফিয়ে দিলেন ডিগবাজি। এই উদযাপনকে রীতিমতো নিজের আইকনিক দৃশ্যে পরিণত করেছেন পান্ত। এমন ইনিংসের পর শচীন তার উত্তরসূরী ক্রিকেটারের প্রশংসা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। সেখানেই তিনি তুলে ধরেন আপাতদৃষ্টিতে সাধারণ তবে ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব তৈরি করা পান্তদের কথা চালাচালির কথা।
ব্যালেন্স হারালেও নিজের পছন্দের শট খেলতে ছাড় দেন না পান্ত। যার প্রশংসা করে শচীন এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, ‘পড়ে গিয়েও ঋষভের প্যাডেল সুইপ শট খেলা দুর্ঘটনাজনিত কিছু নয়। এটি তার ইচ্ছাকৃত এবং দারুণ বুদ্ধিদীপ্ত। নিচের দিকে ঝুঁকে পড়ে এই শট খেলার ধরন নিজেকে বলের নিচে রাখা এবং স্কুপ করে লেগ স্লিপের ওপর দিয়ে খেলতে সাহায্য করে, তাতে সে নিয়ন্ত্রণও পুরো হারায় না।’
এ ছাড়া হিন্দিতে পান্ত-গিলের কথোকথনের প্রশংসা করে শচীন বলছেন, ‘(শোয়েব) বশিরের স্পেলের সময় মজার বিষয় লক্ষ্য করলাম। তার বোলিংয়ের মাঝে শুভমান ও ঋষভ জোরে জেরে হিন্দিতে কথা বলছিল। এটি সাধারণ কোনো কথোপকথন নয়। তারা মূলত বোলারের সঙ্গে মাইন্ডগেম খেলেছে, তার ছন্দে ব্যাঘাত ঘটানোর চেষ্টায় ছিল। এসব ছোটখাটো বিষয়ের প্রভাব হয়তো স্কোরবোর্ডে দৃশ্যমান নয়, তবে খেলায় এসব বিষয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।’
প্রসঙ্গত, এশিয়ান উইকেটরক্ষকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রানের হিসেবে শীর্ষে উঠে আসলেন পান্ত। উইকেটরক্ষক হিসেবে টেস্টে সবচেয়ে বেশি রান ভারতের ধোনির (৪ হাজার ৮৭৬ রান)। মুশফিকুর রহিম উইকেটকিপার হিসেবে ব্যাট হাতে আদায় করেছেন ৩ হাজার ৫১৫ রান। শ্রীলঙ্কার কুমার সাঙ্গাকারা টেস্টে উইকেটকিপার থাকা অবস্থায় করেছেন ৩১১৭ রান। এরপরেই আছে পান্তের ৩ হাজার ৮২ রান।
পিএ/এসএন