এইচএসসি পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সামনে বিক্ষোভ

এইচএসসি পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের সামনে অবস্থান নিয়েছেন শহরের একদল শিক্ষার্থী। করোনার কারণে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিবেচনায় পরীক্ষা দুই মাস পেছানোর দাবি জানিয়েছেন তারা।

তবে অনেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বলছেন, দিন যত যাচ্ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। পরীক্ষা পেছানো হলে স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য হুমকি হবে। তাই যতদ্রুত সম্ভব পরীক্ষা শেষ করার দাবি তাদের।

রোববার (২২ জুন) দুপুর ১টার দিকে শিক্ষাবোর্ডের সামনে পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে অবস্থান নেন একদল ছাত্র। তারা বলছেন, করোনার কারণে জীবন হুমকির মুখে পরতে পারে। তাই স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য পরীক্ষা পেছানো দরকার। এসময় তারা ‘সুরক্ষা না পরীক্ষা, সুরক্ষা সুরক্ষা’— স্লোগানসহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।

এবিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ই‌লিয়াছ উ‌দ্দিন আহাম্মদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, পরীক্ষার পেছানোর মতো এখতিয়ার শিক্ষাবোর্ডের নেই। তাদের দাবি মন্ত্রণালয়ে জানিয়েছি। এবিষয়ে মন্ত্রণালয় সীদ্ধান্ত নেবে। তবে আমাদের কাছে অধিকাংশ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের দাবি, দ্রুত পরীক্ষা নিয়ে নেওয়ার।তিনি বলেন, আমার বোর্ডের এক লাখের বেশি শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেবে। আর পরীক্ষা পেছানোর দাবি জানাতে এসেছে হাতেগোনা ৪০ জন। অন্তত ৯৫ শতাংশ শিক্ষার্থী চায় যথাসময়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হোক। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী পরীক্ষার কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত করা হয়েছে। এবিষয়ে জেলা প্রশাসন, সিভিল সার্জন কার্যালয়, সিটি কর্পোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। 

জাওয়াদ মোরশেদ নামে চট্টগ্রাম কলেজের এক শিক্ষার্থী বলেন, করোনার প্রভাব দিনদিন বাড়ছে। তাই দ্রুত পরীক্ষা হয়ে গেলেই ভালো হবে। কারণ পরে হলে পরীক্ষা নেওয়ার মতো পরিস্থিতি নাও থাকতে পারে। পরীক্ষা না হলে হয়তো আগের মতো অটোপাস দিতে হবে। অটোপাস হলে আমাদের ক্ষতি হবে। অটোপাস হলে বিদেশে কোনো স্কলারশিপ দেয় না। আমি চাই দ্রুত পরীক্ষা হয়ে যাক।

উল্লেখ্য, আগামী ২৬ জুন থেকে সারাদেশে একযোগে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এবার চট্টগ্রাম শিক্ষাবের্ডের অধীনে পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন ১ লাখ ২ হাজার ১ জন শিক্ষার্থী।


ইউটি/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
জয়া চাকমা বিকেএসপির কোচিং ছাড়লেন Jun 23, 2025
img
এবার ব্যারিস্টার ফুয়াদের বিরুদ্ধে নিলা ইসরাফিলের অভিযোগ Jun 23, 2025
img
শান্তিতে নোবেল মনোনয়নের পরদিনই ইরানে হামলায় ট্রাম্পকে ইসলামাবাদের নিন্দা Jun 22, 2025
img
হরমুজ প্রণালী খোলা রাখতে ইরানকে চাপ দেওয়ার অনুরোধ যুক্তরাষ্ট্রের Jun 22, 2025
img
পাওয়ার গ্রিডে গোলযোগ, রাজধানীর বেশকিছু এলাকা বিদ্যুৎহীন Jun 22, 2025
img
ঢাকায় সাবেক এমপি ফয়সল বিপ্লব গ্রেফতার Jun 22, 2025
img
চিকিৎসায় অবহেলার প্রমাণ, ডা. স্বপ্নীলসহ ১৪ চিকিৎসকের সনদ স্থগিত Jun 22, 2025
img
কুড়িগ্রামে ট্রাক চাপায় প্রাণ গেল যুবকের Jun 22, 2025
img
‘ট্রাম্প আলোচনার লোভ দেখাচ্ছেন, যেন আকাশের চাঁদ দেখাচ্ছেন’ Jun 22, 2025
img
আমার গড় খুবই খারাপ, প্রেম নিয়ে সালমানের অকপট স্বীকারোক্তি Jun 22, 2025
img
সোমবার দেশের ৭ জেলায় ৬০ কি.মি. বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস Jun 22, 2025
img
বিরাট-জেনেলিয়ার পুরনো ঘড়ির বিজ্ঞাপনকে ঘিরে উত্তাল নেটদুনিয়া Jun 22, 2025
img
‘ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ধ্বংস নয়’ Jun 22, 2025
img
সেলফি চাওয়ায় কিশোরকে ধাক্কা! রীতেশের আচরণে ক্ষুব্ধ নেটিজেনরা Jun 22, 2025
২০২৫ সালে মুক্তি পেলে চলত না ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’: অনুপম খের Jun 22, 2025
img
দক্ষ ও স্বাধীন বিচার বিভাগ গড়তে অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : প্রধান উপদেষ্টা Jun 22, 2025
img
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিশেষ সুবিধা বাড়িয়ে বাজেট পাস: অর্থ উপদেষ্টা Jun 22, 2025
img
নতুন সঙ্গীকে নিয়ে রোলস রয়েসে শাহরুখ! Jun 22, 2025
img
মার্কিন নাগরিকদের লেবানন থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ যুক্তরাষ্ট্রের Jun 22, 2025
হঠাৎ কেন আর ‘চড়া’ পারিশ্রমিক পাচ্ছেন না রাশমিকা? Jun 22, 2025