ঐকমত্যে আসতে না পারাটা হতাশার হবে : সালাহউদ্দিন

রাষ্ট্রীয় অর্থ ব্যয় করে রাজনীতিবিদরা সারা দিন আলোচনা করে ঐকমত্যে আসতে না পারাটা হতাশাব্যঞ্জক হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।

রবিবার (২২ জুন) বিকেলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।

সালাহউদ্দিন বলেন, ‘পরপর দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবে না, বিএনপি সেই দাবিই আবারও জানিয়েছে। তবে মেয়াদ এবং বারের বিতর্কে না থেকে সর্বোচ্চ বছর উল্লেখ করার কথা আমরা বলেছি।’ নির্দিষ্ট কত বছর সেটি দলীয় ফোরামে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়ে জানানো হবে বলে জানান তিনি।

এ ছাড়া সাংবিধানিক কাউন্সিল এবং উচ্চকক্ষের সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা হবে। আগামী দুই দিন দলীয় ফোরামে আলোচনা করে পরে তা বৈঠকে তোলা হবে বলেও জানান বিএনপির এই সিনিয়র নেতা।
তিনি বলেন, ‘কমিশনের পক্ষ থেকে সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার এবং গণতন্ত্র মূলনীতি করার প্রস্তাবনা এসেছে।

আমরা পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল চেয়েছি। পঞ্চদশ সংশোধনীর পূর্বের অবস্থানের মূলনীতি চায় বিএনপি। যেখানে আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা রয়েছে, বিসমিল্লাহ আছে ও ধর্ম নিরেপক্ষতা নেই।’ এর সঙ্গে চারটি শব্দ যুক্ত হতে পারে বলে মত বিএনপির।

সাংবাদিকদের সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদসহ বিভিন্ন ইস্যুতে যদি ঐকমত্যে না আসা যায়, তাহলে ঐকমত্য কমিশনের পক্ষে এই বিষয়গুলো ঐকমত্য হয়েছে বলে বলা যাবে না। এখন আমাকে আপনারা প্রশ্ন করতে পারেন তাহলে সারা দিন-রাত আপনারা আলোচনা করলেন, এর ফলাফল কী? ফলাফল সম্পর্কে আমি বলতে চাই না। কারণ জাতি আমাদের কাছে অনেক বেশি আশা করে। রাষ্ট্রীয় অর্থ ব্যয় করে সারা দিন আলোচনা করে একটা জায়গায় যদি রাজনীতিবিদরা না আসতে পারি তা হতাশাব্যঞ্জক হবে। এখনো হতাশা ব্যক্ত করতে চাই না।

আমি আহ্বান জানাব, আমরা যেন মিনিমাম ইস্যুগুলোতে একমত হয়ে একটা জাতীয় ঐকমত্য সৃষ্টি করতে পারি।’ সে জন্য জাতীয় ঐকমত্য কমিশন প্রচণ্ড চেষ্টা করছে বলে জানান তিনি।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমার আহ্বান থাকবে মিনিমাম একটা জায়গায় আমরা যেন ঐকমত্য সৃষ্টি করতে পারি। কারণ ঐকমত্যে পৌঁছাতে না পারলে মানুষ রাজনীতিবিদদের ওপর আস্থা হারাবে।’

কেএন/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
রাজধানীর মিরপুরে ছয়তলা ভবনের গ্যারেজে অগ্নিকাণ্ড Jun 23, 2025
img
চীন সফরে গেল মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের বিএনপির প্রতিনিধি দল Jun 23, 2025
img
দুই ঘন্টা পর রাজধানীতে লোডশেডিং পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া শুরু Jun 23, 2025
img
দেশের নাগরিকের প্রতি আইন নিজের হাতে তুলে না নেওয়ার অনুরোধ অন্তর্বর্তী সরকারের Jun 23, 2025
img
জয়া চাকমা বিকেএসপির কোচিং ছাড়লেন Jun 23, 2025
img
এবার ব্যারিস্টার ফুয়াদের বিরুদ্ধে নিলা ইসরাফিলের অভিযোগ Jun 23, 2025
img
শান্তিতে নোবেল মনোনয়নের পরদিনই ইরানে হামলায় ট্রাম্পকে ইসলামাবাদের নিন্দা Jun 22, 2025
img
হরমুজ প্রণালী খোলা রাখতে ইরানকে চাপ দেওয়ার অনুরোধ যুক্তরাষ্ট্রের Jun 22, 2025
img
পাওয়ার গ্রিডে গোলযোগ, রাজধানীর বেশকিছু এলাকা বিদ্যুৎহীন Jun 22, 2025
img
ঢাকায় সাবেক এমপি ফয়সল বিপ্লব গ্রেফতার Jun 22, 2025
img
চিকিৎসায় অবহেলার প্রমাণ, ডা. স্বপ্নীলসহ ১৪ চিকিৎসকের সনদ স্থগিত Jun 22, 2025
img
কুড়িগ্রামে ট্রাক চাপায় প্রাণ গেল যুবকের Jun 22, 2025
img
‘ট্রাম্প আলোচনার লোভ দেখাচ্ছেন, যেন আকাশের চাঁদ দেখাচ্ছেন’ Jun 22, 2025
img
আমার গড় খুবই খারাপ, প্রেম নিয়ে সালমানের অকপট স্বীকারোক্তি Jun 22, 2025
img
সোমবার দেশের ৭ জেলায় ৬০ কি.মি. বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস Jun 22, 2025
img
বিরাট-জেনেলিয়ার পুরনো ঘড়ির বিজ্ঞাপনকে ঘিরে উত্তাল নেটদুনিয়া Jun 22, 2025
img
‘ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ধ্বংস নয়’ Jun 22, 2025
img
সেলফি চাওয়ায় কিশোরকে ধাক্কা! রীতেশের আচরণে ক্ষুব্ধ নেটিজেনরা Jun 22, 2025
২০২৫ সালে মুক্তি পেলে চলত না ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’: অনুপম খের Jun 22, 2025
img
দক্ষ ও স্বাধীন বিচার বিভাগ গড়তে অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : প্রধান উপদেষ্টা Jun 22, 2025