তারকাখচিত অভিনেতা সুরিয়া এবং পরিচালক কার্তিক সুব্বারাজ, এই জুটি নিয়ে দর্শকদের মধ্যে এক সময় ছিল প্রবল প্রত্যাশা। কিন্তু সেই আশা ধূলিসাৎ হয় ‘রেট্রো’ ছবির মুক্তির পরই। বক্স অফিসে ব্যর্থতা এবং ওটিটি প্ল্যাটফর্মেও একেবারে নজর না কাড়া, দুই ক্ষেত্রেই মুখ থুবড়ে পড়ে এই ছবি।
ছবির ব্যর্থতার পেছনে দর্শক ও সমালোচকদের মত প্রায় এক। দুর্বল চিত্রনাট্য, ধীরগতি, আবেগের অভাব এবং মূল গল্পে কোনো শক্তিশালী টান না থাকাই ‘রেট্রো’-কে ফেল করিয়েছে। এমনকি নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েও ছবিটি কোনো আলোড়ন তুলতে পারেনি।
এই অবস্থায় পরিচালক কার্তিক সুব্বারাজ এক নতুন উদ্যোগ নিতে চলেছেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, ‘রেট্রো’-র একটি দীর্ঘতর সংস্করণ তৈরি করতে চান তিনি। যেখানে চারটি আলাদা পর্বে ভাগ করে মোট প্রায় ১৬০ মিনিটের একটি সিরিজে ছবিটি আবারও উপস্থাপন করতে চান। তার দাবি, এই এক্সটেন্ডেড ভার্সনের মাধ্যমে তিনি গল্পের আবেগ, থিম এবং উদ্দেশ্য আরও ভালোভাবে তুলে ধরতে পারবেন।
তবে প্রশ্ন উঠছে, দর্শক যেটা একবার প্রত্যাখ্যান করেছে, সেটাকে দীর্ঘ করে আবার উপস্থাপন করলে তাতে আদৌ নতুন কিছু হবে কি না। অনেকেই মনে করছেন, এটা কোনো সৃজনশীল সমাধান নয়, বরং পরিচালকের এক ধরনের অস্বীকার (ডিনায়াল)। কেউ কেউ আবার সম্মান দেখিয়ে বলছেন, সাহসী হলেও হয়তো এই প্রচেষ্টা ফলপ্রসূ হবে না।
চলচ্চিত্রের ইতিহাস বলছে, এক্সটেন্ডেড সংস্করণ কেবল তখনই কাজ করে, যখন থিয়েটার ভার্সনে গল্পের মূল আবেগ কেটে ফেলা হয়, কিংবা ছবি হয় কাল্ট ক্লাসিক। কিন্তু ‘রেট্রো’-র ক্ষেত্রে এমন কিছুই ঘটেনি। দর্শকের চোখে এটি একটি প্রাণহীন ও অপ্রয়োজনীয়ভাবে টানা ছবি হিসেবেই থেকে গেছে।
পরিচালকের নতুন প্রচেষ্টা যদি গল্পের মূল কাঠামো ও আবেগকে বদলাতে না পারে, তাহলে এটি শুধু ব্যর্থতার একটি দীর্ঘতর রূপ হিসেবেই চিহ্নিত হবে। অনেকের মতে, সবচেয়ে ভালো ‘সিক্যুয়েল’ হলো—ভুল থেকে শেখা, ব্যর্থতা মেনে নিয়ে এগিয়ে যাওয়া। জোর করে পুরনো ব্যর্থতাকে নতুন করে প্যাকেজ করলেই তা গ্রহণযোগ্য হয়ে ওঠে না।
এসএম