কথায় আছে, ক্যাচ মিস তো ম্যাচ মিস। ভারত কিন্তু দ্বিতীয় দিন ক্যাচ মিসের খেলায় মেতে উঠেছিল। ক্রিকেটের দীর্ঘতম ফরম্যাটে এভাবে ক্যাচ মিস করে ফল তো ভুগতেই হবে। আর তাই টিম ইন্ডিয়ার ফিল্ডিং নিয়ে রেগে সুনীল গাভাস্কার। তিনি মনে করেন, ম্যাচের পর কাউকে সেরা ফিল্ডারের পুরস্কার দেওয়া উচিত নয়।
তিন-তিনটে ক্যাচ ফেলেছে ভারত। ক্যাচগুলো মিস না হলে ম্যাচের রাশ অনেকটাই ভারতের হাতে থাকত। দ্বিতীয় দিন খেলার শেষে ধারাভাষ্যকার গাভাস্কারবলেন, “এই টেস্টের পর কি কোনও মেডেল দেওয়া হবে? আমার মনে হয় না। টিম ইন্ডিয়ার ফিল্ডিং কোচ টি দিলীপ প্রত্যেক ম্যাচের পর মেডেল দেয়। কিন্তু এটা সত্যি যে, দ্বিতীয় দিন ভারতের ফিল্ডিং খুবই হতাশাজনক ছিল। যশস্বী, জাদেজা খুব ভালো ফিল্ডার। তবে ওরা ক্যাচ ফেলে দেওয়ায় সুযোগ নষ্টের খেসারত দিতে হচ্ছে ভারতকে।”
দ্বিতীয় দিন যশস্বী মিস করেন বেন ডাকেট এবং অলি পোপের ক্যাচ। ডাকেটের ক্যাচ ছাড়েন জাডেজাও। জীবনদান পেয়ে ডাকেট করেন ৬২ রান। পোপ হাঁকান সেঞ্চুরি। এই কারণেই গাভাস্কার ক্ষোভ উগরে দিয়েছন।
এমন ফিল্ডিংয়ে হতাশ টিম ইন্ডিয়ার ব্যাটিং কোচ সীতাংশু কোটাকও। তার কথায়, “ক্যাচ মিস তো বটেই, নো বল নিয়েও হতাশ। এমনিতে আমরা ফিল্ডিংয়ের ব্যাপারে তীক্ষ্ণ থাকি। কিন্তু আমাদের গোটা দলের ক্ষেত্রে এটা একটা দুর্ভাগ্যজনক দিন গিয়েছে।” দ্বিতীয় দিনের শেষ ওভারে বুমরাহের বাউন্সার পুল করতে গিয়ে আউট হন হ্যারি ব্রুক। টিম ইন্ডিয়ার ক্রিকেটাররা সেলিব্রেশনও করতে শুরু করেন। কিন্তু ঘটনাচক্রে সেটা নো বল ছিল। তৃতীয় দিনও ক্যাচ ফসকান যশস্বী। এবার তিনি হ্যারি ব্রুকের সহজ ক্যাচ ফেলেন। তখন ইংরেজ ব্যাটারের রান ৮২।