ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধ অন্তর্বর্তী সরকারকে নানামুখী যন্ত্রণার মধ্যে ফেলে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদ ও কলাম লেখক গোলাম মাওলা রনি। তিনি বলেন, এই যুদ্ধের ফলে তেলের দাম বেড়ে গেছে। এছাড়া কাতার থেকে আমরা যে এলএনজি আনতাম তার সরবরাহও বিষণভাবে ঝুঁকির মধ্যে পড়ে গেছে।
সম্প্রতি ইরান-ইসরায়েলের যুদ্ধের ফলে অন্তর্বর্তী সরকারের চ্যালেঞ্জ তুলে ধরে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে এক ভিডিওতে এসব মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ দীর্ঘমেয়াদি হলে ইরান যদি হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেয় তাহলে আমাদের পুরো জ্বালানি সেক্টর দীর্ঘমেয়াদে যে সমস্যার মধ্যে পড়বে সেটি মোকোবিলার অর্থনৈতিক অবস্থা, প্রশাসনিক কাঠামো, লাইন অফ সাপ্লাই ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের নেই।
শেখ হাসিনার জামানাতে আমরা জ্বালাতি তেলের একটা বিরাট অংশ ভারত থেকে আনতাম। ভারত আনত ইরান, রাশিয়া থেকে তেল আনত, যেটা এক্সপোর্ট করত সেটা পাইপ লাইনের মাধ্যমে আমরা আনতাম। ভারতের সাথে সেই লেনদেনটি এখনো আছে কি না আমরা জানি না।
ইতোপূর্বে আমরা স্পট মার্কেট থেকে যেভাবে এলএনজি কিনতাম সেই সাপ্লাইটি এখন আর আগের মতো নেই। কারণ ঐ সমস্ত কর্মকাণ্ডের মধ্যে সালমান এফ রহমান, বীপু গং, জ্বালানি মন্ত্রীর সিন্ডিকেট চালু ছিল। এখন সেই সিন্ডিকেটটা সক্রিয় আছে কি না আমরা জানি না। এ যুদ্ধের যে জ্বালানি সংকটটা শুরু হয়ে যাবে সেটি সরকারের জন্য রীতিমতো মহাবিপদ।
তিনি আরো বলেন, যুদ্ধের ফলে সরকারের সংস্কার, এনসিপিকে শক্তিশালী করা, নির্বাচনের আয়োজনের কর্মকাণ্ড পুরোটাই ভন্ডুল হতে বসেছে। যারা বাংলাদেশের আশাবাদী মানুষ তারা অনেকেই আশা করেছিলেন ২০২৫ সালের ডিসেম্বরেই নির্বাচন হবে।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উদ্দেশে গোলাম মাওলা রনি বলেন, আমেরিকার ভয় দেখিয়ে, ইসরায়েলের লবির ভয় দেখিয়ে, ইউরোপের ভয় দেখিয়ে এই বাংলাদেশের একটা তেলাপোকাকেও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না। এখন সত্যিকার অর্থে তার নিজেকে প্রমাণ করতে হবে। এই সময়টাতে কোনো রকম আবেগ তাকে নিয়ে কাজ করবে না।
এই সময়টাতে তেলের মূল্য, অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ যে সমস্যা রয়েছে, বিএনপির সাথে যে দূরত্ব রয়েছে এর পুরোটাই এব অরজিনাল হয়ে যাবে।
এসএন