স্বল্প মেয়াদের দায়িত্ব নিয়েই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি আমিনুল ইসলাম একটি দ্রুতগতির টি-টোয়েন্টি ইনিংস খেলতে চেয়েছেন। কাজ করছেন তাঁর ‘ট্রিপল সেঞ্চুরি গোল’ নিয়েও। কালের কণ্ঠ ডিজিটালের ‘অন অ্যান্ড অব দ্য ফিল্ড’ অনুষ্ঠানে আমিনুল ইসলামআয়োজনে এসে জানালেন কিছু মেগাপ্রকল্পেও হাত দিতে চলেছেন তিনি। দীর্ঘ সাক্ষাত্কারের খুব সামান্যই অবশ্য এখানে তুলে ধরা গেছে। সাকিবকে পেতে হবে তো!
আমি সভাপতি হওয়ার পর সাকিব শুভ কামনা জানিয়েছে। তবে পেশাদার কোনো আলাপ হয়নি। সাকিবকে খেলানোর কোনো আলাপ বোর্ডেরও কেউ তোলেননি। ওর ওপর অখুশিও ছিলাম।
খেলোয়াড় থাকা অবস্থায় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হওয়াটা অনৈতিক। তা ছাড়া শেষ তো আছে। কোহলি আর রোহিতও অবসর নিয়েছে। আমাদের কাজ হচ্ছে এমন খেলোয়াড়দের বেছে নেওয়া, যাদের পাওয়া যায়। সাকিব তো এখন অনেক কিছুর মধ্যে জড়িয়ে গেছে।
শান্তর (নাজমুল) ওয়ানডে নেতৃত্ব কিন্তু আমরা কেড়ে নিইনি। তিন সংস্করণে বাংলাদেশকে এখন অনেক ক্রিকেট খেলতে হচ্ছে বলে আমরা ওর ওপর থেকে চাপ কিছুটা কমাতে চেয়েছি। ফলটাও দেখুন, গল টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরি করেছে। বোর্ডের একজন শান্তর সঙ্গে কথা বলে এসে জানান, সে বিষয়টি খুব ভালোভাবে গ্রহণ করেছে।
যোগাযোগের সমন্বয়হীনতার কারণে হয়তো আলোচনা অন্যদিকে ঘুরে গেছে।
বিদেশ সফরের ভাতা নিয়েও আমরা আলোচনা করেছি। প্রথমে বাড়ানো হলেও পরে কমানো হয়েছে। আগে সভাপতি ৫০০ ও পরিচালকরা ৪০০ ডলার করে পেতেন। এখন সবাই সমান ৪০০ ডলার করে পাবেন। বাস্তবতার নিরিখেই এটি নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে আমার প্রশ্ন, পরিচালকরা বিদেশ সফরে কেন যাবেন? কোনো আমন্ত্রণ না থাকলে যাওয়ার তো মানে নেই। নির্বাচক গেলে বরং ভালো।
নতুন একটি পদ তৈরি করছি আমরা—হেড অব ক্রিকেট। অনেক দেশে যেটি ডিরেক্টর অব ক্রিকেট। এই পদে দেশি-বিদেশি যে কাউকেই দেখা যেতে পারে। আমাদের এমন একটি মস্তিষ্ক দরকার, যিনি কিনা অনেক আগে থেকেই পরিকল্পনা করবেন। ধরুন শ্রীলঙ্কায় খেলা, এখন ঢাকায় ওই ধরনের উইকেট বানিয়ে অনুশীলন করলে সেটি অবশ্যই কাজে দেবে। হেড অব ক্রিকেট এই কাজগুলোরই তদারকি করবেন।
আমি কখনোই বিপিএলের বিপক্ষে ছিলাম না। তবে আমি বলেছি, গত বিপিএলে যে ভুলগুলো হয়েছে, সেগুলো আমাদের কাটিয়ে উঠতে হবে। গত বিপিএলের বিপক্ষে ছিলাম। তাড়াহুড়ার মধ্যে আসরটি করা হয়েছে বলে মনে হয়েছিল। যেহেতু আমরা জেনে গেছি যে কী খারাপ ছিল, এটি আমাদের জন্য একটি শিক্ষা। এ বছর আমরা বিষয়গুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। ভালো ফ্র্যাঞ্চাইজি আনার চেষ্টা করব। আরেকটা নতুন ভেন্যুরও চিন্তা করছি।
পূর্বাঞ্চলে শুধু মাঠ না, আমরা স্টেডিয়ামও করব। ওখানে দেখবেন (পরিকল্পনায়) বড় স্টেডিয়াম ও নার্সারি গ্রাউন্ডের মাঝে একটি জায়গা আছে। সেখানে আমরা বিশ্বমানের একটি হাই পারফরম্যান্স সেন্টারও করব। নেপালের সঙ্গে যৌথভাবে ২০২৭ সালে নারীদের বিশ্বকাপ আছে এখানে। এশিয়া কাপও বাংলাদেশে হওয়ার কথা আছে। ভারতের সঙ্গে ২০৩১ বিশ্বকাপও আয়োজন করতে হবে। এসব মাথায় রেখে আমরা স্টেডিয়ামটা করতে চাচ্ছি।