ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন হামলার পর পারস্য উপসাগরের মুখে অবস্থিত গুরুত্বপূর্ণ তেল পরিবহনের পথ হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দিতে পারে তেহরান। এরইমধ্যে দেশেটির পার্লামেন্ট এ বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছে। এই অবস্থায় তেলবাহী ট্যাংকারগুলো হরমুজ প্রণালী এড়িয়ে চলছে।
মার্কিন সংবাদ সংস্থা ব্লুমবার্গ বলছে, হরমুজ প্রণালী থেকে দিক পরিবর্তন করেছে দুটি বিশাল তেলবাহী জাহাজ-কোসইউসডম লেক ও সাউথ লয়্যালটি। জাহাজ দুটি প্রায় ২০ লাখ ব্যারেল করে অপরিশোধিত তেল পরিবহনের সক্ষমতা রাখে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার (২২ জুন) জাহাজ দুটি হরমুজ প্রণালীতে প্রবেশ করেছিল। পরে স্যাটেলাইট ট্র্যাকিংয়ে দেখা যায়, তারা হঠাৎ দিক পরিবর্তন করে প্রণালী ছেড়ে চলে যাচ্ছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তেল বা পণ্য পরিবহনের জন্য নতুন রুট বেছে নেয়ার চিন্তাভাবনা শুরু হতে পারে-এই ঘটনা সেই সম্ভাবনারই প্রাথমিক ইঙ্গিত হতে পারে।
এদিকে ইরানি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলা হয়েছে, ইরানের পার্লামেন্ট হরমুজ প্রণালী বন্ধের একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ফক্স নিউজে বলেন, ‘আমি বেইজিংয়ে চীনা সরকারকে বলবো, তারা যেন এ বিষয়ে ইরানকে ফোন করে, কারণ চীন এই প্রণালী দিয়ে বিপুল পরিমাণে তেল আমদানি করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি ইরান এমনটা করে, তাহলে সেটা হবে আরেকটি ভয়ানক ভুল। এটি তাদের জন্য অর্থনৈতিক আত্মহত্যার শামিল হবে।’
এই পথ বন্ধ হলে বিশ্ব অর্থনীতিতে ভয়াবহ প্রভাব পড়বে, তেলের দাম বেড়ে যাবে এবং চীন, ভারত ও জাপানের মতো বড় আমদানিকারক দেশগুলো চরম ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
এসএন