ভুল চিকিৎসায় প্রাণ গেল ১ জনের, ৩ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা

চট্টগ্রামে ভুল চিকিৎসা ও চিকিৎসকদের অবহেলার কারণে এক কিশোরীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় গতকাল সোমবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বক্কর সিদ্দিকের আদালতে তিন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে একটি নালিশি মামলা দায়ের করেছেন মৃত কিশোরীর বাবা পলাশ কুসুম নন্দী। মারা যাওয়া কিশোরী অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) অভিযোগটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী নুরে হুদা।

মামলায় অভিযুক্ত তিন চিকিৎসক হলেন নগরের আসকার দীঘির পাড়ে অবস্থিত নিউ লাইফ হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্তব্যরত চিকিৎসক সমৃদ্ধি চৌধুরী, হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুমন চক্রবর্তী ও চিকিৎসক অনিরুদ্ধ ঘোষ।

মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, তার কিশোরী মেয়ে প্রজ্ঞা নন্দী দীর্ঘদিন ধরে মাইগ্রেনে ভুগছিলেন এবং সে অনুযায়ী ওষুধ খেত। ২ জুন হঠাৎ বমি ও দুর্বলতা অনুভব করলে তারা তাকে নিউ লাইফ হসপিটালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক স্যালাইন দেওয়ার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, মেয়ে সুস্থ আছে, ভর্তি করার প্রয়োজন নেই।

বাদীর অভিযোগ, চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী মেয়েকে স্যালাইন দেওয়া হয় এবং ক্যানুলার মাধ্যমে ইনজেকশন পুশ করা হয়। স্যালাইন দেওয়ার ২০ মিনিটের মধ্যেই মেয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। তখন কোনো পরীক্ষা–নিরীক্ষা বা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই কেন ইনজেকশন পুশ করা হলো জানতে চাইলে চিকিৎসকেরা বিরক্তি প্রকাশ করেন। কিশোরীর জ্ঞান না ফেরায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আনার অনুরোধও উপেক্ষা করা হয়।

পরে বিকেলে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও রাত ১০টার দিকে রোগীকে ছাড়পত্র দিয়ে দেওয়া হয়। এরপর অন্য একটি হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকেরা জানান, কিশোরী অনেক আগেই মারা গেছে।

আরআর/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
একনেকে ৮৯৭৪ কোটি টাকার ১৭ প্রকল্প অনুমোদন Jun 24, 2025
img
কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এনপিটি থেকে বেরিয়ে যেতে পারে ইরান Jun 24, 2025
img
‘জনগণের একটি টাকাও যেন কারো পকেটে না ঢুকে’ Jun 24, 2025
img
মায়ের জানাজায় অংশ নিতে প্যারোলে মুক্তি যুবলীগ নেতার Jun 24, 2025
img
‘দেশের আমলাদের নুরুল হুদার ঘটনা থেকে শিক্ষা নিতে হবে’ Jun 24, 2025
img
সিলেটের জৈন্তাপুর সীমান্তে ১৯ জনকে বিএসএফের পুশ ইন Jun 24, 2025
img
চট্টগ্রাম থেকে মধ্যপ্রাচ্যে বিমান চলাচল স্বাভাবিক Jun 24, 2025
img
ইসরাইলের সাথে যুদ্ধবিরতির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ইরানের Jun 24, 2025
img
মেট্রোরেলের নিরাপত্তা বাড়াতে অগ্নিনির্বাপণ মহড়া মঙ্গলবার Jun 24, 2025
img
এনসিপির ৩০০ আসন পাওয়ার কথা কৌতুকের শামিল : রুমিন ফারহানা Jun 24, 2025
img
বলিউডের ভারতীয়তা হারানো নিয়ে পাওয়ান কল্যাণের ক্ষোভ প্রকাশ Jun 24, 2025
img
সোহানকে দলে না দেখে 'অবাক' সাবেক প্রধান নির্বাচক নান্নু Jun 24, 2025
img
আল্লু অর্জুনের ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় এবার ম্রুনাল ঠাকুর Jun 24, 2025
img
ঈদের ছুটিতে সড়কে প্রাণ গেল ১৬৯ জনের : বিআরটিএ Jun 24, 2025
img
ইরানের সঙ্গে শান্তিচুক্তি নিয়ে ইসরায়েলের পূর্ণ বিবৃতি Jun 24, 2025
img
নির্মাতা থেকে অভিনেতা হয়ে উঠছেন তামিল সিনেমার পরিচালকরা Jun 24, 2025
img
বাংলাদেশি ছেলেরা সব দুই নাম্বার, বিদেশি ছেলেরা একজনের সাথেই থাকতে চায়: সেমন্তি সৌমি Jun 24, 2025
বিপুচক্রে বিলিয়ন ডলারের গোপন লেনদেন Jun 24, 2025
img
তেহরান ‘কাঁপিয়ে দেয়ার’ হুমকি ইসরাইলের Jun 24, 2025
img
মোসাদের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ইরানে আটক ৬ Jun 24, 2025