চলমান চাকসু নির্বাচনের তোড়জোড়ের মধ্যে আজ থেকে শুরু মনোনয়নপত্র বিতরণ। নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত আচরণবিধি অনুযায়ী, প্রার্থীদের মনোনয়নপত্রের সঙ্গে ডোপ টেস্টের রিপোর্ট জমা দিতে হবে। মাদকাসক্ত কেউ যেন নির্বাচিত হয়ে নেতৃত্বে আসতে না পারে, এ কারণেই এমন উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ডোপ টেস্টের রিপোর্টে পজিটিভ ফল আসলে বাতিল হবে প্রার্থিতা।
প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন। তবে তারা অভিযোগ করেছেন, আবাসিক হলে সিট বরাদ্দের সময় ডোপ টেস্টের কথা থাকলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। তাই চাকসুর ক্ষেত্রে কঠোরভাবে এ নিয়ম কার্যকর করার দাবি জানান তারা। সাধারণ শিক্ষার্থীরাও মাদকমুক্ত নেতৃত্ব চান।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন জানান, মনোনয়নপত্র সংগ্রহের সময় প্রতিটি প্রার্থীকে একটি ডোপ টেস্ট কার্ড দেওয়া হবে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেলে ৩৫০ টাকা ফি দিয়ে নমুনা জমা দিতে হবে।
দীর্ঘ ৩৫ বছর পর আগামী ১২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন। চাকসুর কেন্দ্রীয় সংসদে মোট ২৮টি পদ এবং প্রতিটি হলে ১৬টি পদ থাকবে। মনোনয়নপত্রের ফি নির্ধারণ করা হয়েছে কেন্দ্রীয় সংসদের জন্য ৩০০ টাকা ও হল সংসদের জন্য ২০০ টাকা।
তফসিল অনুযায়ী, চাকসু নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী, ১৪ সেপ্টেম্বর শুধুমাত্র মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা যাবে, ১৫ ও ১৬ সেপ্টেম্বর সংগ্রহ ও জমাদান, ১৭ সেপ্টেম্বর কেবল জমাদান, ১৮ সেপ্টেম্বর যাচাই-বাছাই, ২১ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ, ২৩ সেপ্টেম্বর বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহার, ২৫ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ এবং ১২ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ শেষে গণনা অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া আজই চূড়ান্ত ভোটার তালিকা বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছে চাকসু নির্বাচন কমিশন।
কেএন/টিকে