৩৭০ সিনেমায় কাজ করার পরেও শুটিংয়ের প্রথম দিনে ভয় লাগে : মিঠুন

ক্যারিয়ারের পথচলা শুরু হয়েছিল মৃণাল সেনের ‘মৃগয়া’ দিয়ে। এরপর পেরিয়ে গেছে পাঁচটি দশক। অভিনয় করেছেন ৩৭০টিরও বেশি চলচ্চিত্রে। তবুও আজও শুটিংয়ের প্রথম দিনে নার্ভাস হয়ে পড়েন মিঠুন চক্রবর্তী! সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে নিজেই সেই অভিজ্ঞতার কথা জানালেন এই বর্ষীয়ান অভিনেতা।

সেই সাক্ষাৎকারে মিঠুন বলেন, ‘‘হ্যাঁ, আজও শুটিংয়ের প্রথম দিনে ভয় লাগে, নার্ভাস লাগে।’’ একসময় বছরে ৩০ থেকে ৪০টি ছবিতে অভিনয় করতেন মিঠুন। প্রশ্ন ছিল, তখন কি মনে হতো, কিছু কাজ এড়িয়ে গেলেই হতো?

অভিনেতার জবাব, ‘‘না, আমি মনে করি সেটাই আমাকে আজকের জায়গায় পৌঁছে দিয়েছে। সেই সময় মনে হতো, প্রতিটা কাজই গ্রহণ করা উচিত।’’



বাণিজ্যিক ছবিতেই বেশি দেখা গেলেও, মিঠুনের ঝুলিতে রয়েছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ আর্ট ফিল্মও। যার মধ্যে রয়েছে ‘মৃগয়া’, ‘কালপুরুষ’, ‘শুকনো লঙ্কা’, ‘তিতলি’ ও ‘তাহাদের কথা’র মতো প্রশংসিত সিনেমা।

নিজের জীবনের সংগ্রামের কথাও অকপটে বলেন মিঠুন। জানান, জীবনের কিছু কঠিন সময়ের কথা, যখন মনে হয়েছিল স্বপ্নপূরণ আর সম্ভব নয়।

এমনকি আত্মহত্যার কথাও ভেবেছিলেন তিনি। তবে সেই সময় পাশে ছিলেন কিছু শুভাকাঙ্ক্ষী, যাঁরা তাঁকে বলেছিলেন— এই লড়াই থামিয়ে দেওয়া যাবে না, যেতে নেই।

বলিউড বনাম দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির তুলনাতেও মুখ খোলেন মিঠুন। বলেন, “গ্যালারি নিয়ে খেলতে হবে, মানুষের গল্প বলতে হবে।”

তার মতে, ৮০-৯০ দশকে যে ধরনের সুপারস্টার ছবিতে তিনি কাজ করতেন, ঠিক সেই ধরণের ছবিই আজ দক্ষিণী সিনেমার প্রধান অস্ত্র। আল্লু অর্জুন, যশ বা রাম চরণের মতো তারকারা সময়কে ভালোভাবে ব্যবহার করছেন বলেই তারা সফল।

৫০ বছরের কর্মজীবন পেরিয়ে এসেও আজও কাজের প্রতি মিঠুন চক্রবর্তীর নিষ্ঠা, পরিশ্রম আর সততার গল্প যেন ইন্ডাস্ট্রির নবাগতদের জন্য এক বড় অনুপ্রেরণা।

আরএম/এসএন 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
যুদ্ধবিরতি বজায় রাখার আহ্বান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর Jun 24, 2025
img
‘কিং’ এর জন্য জয়দীপকে নিজেই নির্বাচিত করলেন কিং খান! Jun 24, 2025
img
সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা পাবে : আমিনুল Jun 24, 2025
img
বিজয়ের জন্মদিনে তৃষার ‘সাদামাটা’ ছবিকে ঘিরে ভক্তদের কৌতূহল! Jun 24, 2025
img
এবার ‘দৃশ্যম থ্রি’ এ একসঙ্গে পর্দা কাঁপাবেন মোহনলাল-অজয়-ভেঙ্কটেশ Jun 24, 2025
img
কেনিয়ায় শুরু ‘এসএসএমবি ২৯’, ভিন্ন রূপে মহেশ বাবু Jun 24, 2025
img
বছরে এক ছবি, তাতেই বাজিমাত করতে চাইছেন প্রভাস Jun 24, 2025
img
বকেয়া ৫ কোটি ২৭ লাখ টাকা বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করলো সিসিক Jun 24, 2025
img
পরমাণু কর্মসূচিতে ব্যাঘাত না ঘটার দাবি ইরানের পারমাণবিক প্রধানের Jun 24, 2025
img
ইরান কোথায় সরাল ৪০০ কেজি ইউরেনিয়াম? Jun 24, 2025
img
ক্লাব বিশ্বকাপে আজ রাতে বায়ার্নের মুখোমুখি হবে বেনফিকা Jun 24, 2025
দাম বাড়িয়ে যেভাবে ভোক্তাদের ঠকাচ্ছে চাল ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট Jun 24, 2025
img
রিজার্ভ ২২ বিলিয়ন ছাড়াল Jun 24, 2025
img
যুক্তরাষ্ট্রকে ‘ঐতিহাসিক শিক্ষা’ দেওয়ার বার্তা ইরানের আইআরজিসি প্রধানের Jun 24, 2025
img
জাতীয় নির্বাচনের চাপে পড়ে ডাকসু নির্বাচন নিয়ে তড়িঘড়ি করছে : উমামা Jun 24, 2025
img
চার দিনেই শত কোটির ক্লাবে ‘সিতারে জামিন পার’ Jun 24, 2025
img
ডাকসু সংশোধনে শুধু রাজনৈতিক নয়, একাডেমিক নিয়েও ভাবতে হবে : উমামা ফাতেমা Jun 24, 2025
img
গুম প্রতিরোধে শিগগিরই আইন প্রণয়ন : আসিফ নজরুল Jun 24, 2025
img
এই ইসির অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব: মিয়া গোলাম পরওয়ার Jun 24, 2025
img
ইসরায়েলকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ঘোষণার আহ্বান বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির Jun 24, 2025