প্রভাস এখন আর আগের মতো একের পর এক ম্যাস ছবি করছেন না। এখন তিনি প্রতি বছর মাত্র একটি করে ছবি হাতে নিচ্ছেন, তাও বেছে নিচ্ছেন এমন প্রজেক্ট—যা আকারে বিশাল, গল্পে ব্যতিক্রমী এবং নির্মাণে উচ্চ মানসম্পন্ন। এই পরিকল্পনার পেছনে আছে একটি পরিস্কার লক্ষ্য—গতি কমিয়ে, আঘাত বাড়ানো।
আগামী ২০২৫ সালে মুক্তি পেতে যাচ্ছে ‘দ্য রাজা সাব’, যা একটি হরর-কমেডি ঘরানার ছবি, তাতে থাকছে প্রেমের মোচড়ও। মারুতি পরিচালিত এই ছবির শুটিং ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে এবং পোস্ট-প্রোডাকশনের কাজ চলছে। এই বছর এটিই প্রভাসের একমাত্র ফুল-লেংথ মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি হবে। তবে একটি অতিথি চরিত্রে তাকে দেখা যেতে পারে 'কন্নাপ্পা' নামের আরেকটি ছবিতে।
২০২৬ সালে তার ভক্তদের জন্য অপেক্ষা ছাড়া আর কিছু নেই। কারণ এই বছর কোনও নিশ্চিত প্রজেক্ট এখনো ঘোষণা করা হয়নি। ফলে এটা হতে পারে একপ্রকার বিশ্রামের বছর কিংবা হতে পারে হঠাৎ কিছু বড় চমকও।
২০২৭ সালে মুক্তি পেতে পারে ‘ফৌজি’ নামে একটি ছবি, যেটি পরিচালনা করছেন হনু রাঘবাপুড়ি। এটি একটি মিলিটারি ঘরানার প্রেম ও অ্যাকশননির্ভর ছবি, যেখানে প্রভাসকে দেখা যাবে আরও মানবিক রূপে।
২০২৮ সালে আসছে ‘স্পিরিট’—সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা পরিচালিত এই থ্রিলার হবে এক অন্ধকার, আবেগতাড়িত ও হিংস্র গল্প। ছবিটির শুটিং শুরু হবে ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর থেকে।
২০২৮ অথবা ২০২৯ সালে মুক্তি পেতে পারে বহুল আলোচিত 'কাল্কি ২৮৯৮ এ.ডি.' ছবির দ্বিতীয় কিস্তি। ভারতের সবচেয়ে ব্যয়বহুল সায়েন্স-ফিকশন এই প্রকল্পটি এখনো চূড়ান্ত প্রোডাকশন অনুমোদনের অপেক্ষায়। বিশাল ভিএফএক্স নির্ভর এই ছবির জন্য দরকার একাধিক বছরের ধৈর্য।
সব মিলিয়ে বলা যায়, প্রভাস এখন আর আগের মতো গতিময় নন, কিন্তু তার প্রতিটি ছবি যেন একটি আস্ত মহাযজ্ঞ। ধীরে চলার এই নীতিতেই তিনি খুঁজে পাচ্ছেন নতুন শক্তি, এবং তাতেই বদলাচ্ছেন সমগ্র বাণিজ্যিক সিনেমার সমীকরণ।
পিএ/টিকে