বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক রুমিন ফারহানা বলেছেন, সুষ্ঠ ভোট হলে এনসিপির নেতারা দুই একটা আসনও হয়তো পাবে না। অন্তবর্তীকালীন সরকারের অনেক উপদেষ্টা চান নির্বাচন প্রলম্বিত হোক।
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের এক টকশোতে এসব কথা বলেন রুমিন ফারহানা। তিনি বলেন, ‘সরকারের ২২ জন উপদেষ্টা আছে।
আপনি কেন মনে করছেন এই উপদেষ্টারা সকলেই যে প্রটোকল পাচ্ছেন, যে সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন, যে লাইফস্টাইলটা তারা পাচ্ছেন, সেটা সেই ২২জনই সহজে গিভআপ করে তে চাইবেন? তারা তো চাইবে যে এই সরকারটি আরও প্রলম্বিত হোক।
শুধু উপদেষ্টা কেন, কোনো কোনো রাজনৈতিক দলও চাইবে এই সরকার প্রলম্বিত হোক। একজন দুজন বা তিনজন উপদেষ্টা কেবল নয়, উপদেষ্টা পরিষদের অনেকেই যদি চান নির্বাচন প্রলম্বিত করতে যে সরকার আরেকটা বেশি সময় থাকুক, আমি অবাক হবো না।’
বেশ কিছু রাজনৈতিক দল আছে, ‘তারা ভালোমতোন জানে, যদি সুষ্ঠ ভোট হয়, তারা একটা দুইটা আসনও হয়তো পাবে না।
কিন্তু তাদের হাক ডাক কিংবা তাদের প্রতি মিডিয়ার মনোযোগ খুব বেশি। ধরুন তাদের কোনো নেতা তিনশ আসনকে চারশ আসন করে কথা বললেও সেটা মিডিয়ায় খবর হয়।’
জাহতীয় নাগরিক পার্টির নেতা নাসীরউদ্দিন পাটোয়ারি সম্প্রতি বলেছেন বিএনপি বড়জোর ১০০ আসন পাবে। এ বক্তব্য প্রসঙ্গে রুমিন ফারহানা বলেন, ‘উনারা তো সবই জোর দিয়ে বলেন।
বিএনপি ৫০ থেকে ১০০ আসন পাবে। এটা উনি জোর দিয়ে বলছেন। এগুলো নিয়ে মানুষ হাসে মজা করে। মিডিয়া নানান চাপে তাপে থেকে কাজ করতে অভ্যস্ত। মিডিয়াকে যদি আপনি ফ্রিও করে দেন মিডিয়া ফ্রি হতে পারে না।
মিডিয়া খোঁজে রাজার দল। এখন এনসিপিকে মিডিয়া রাজার দল ভাবছে। এনসিপি যাই বলুক না কেন, যত হাস্যকর কথাই বলুক না কেন, সেটা আলোচনা হবে।’
অন্তবর্তীকালীন সরকার বিএনপির দিকে ঝুঁকে গেছে, এনসিপির এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে রুমিন ফারহানা বলেন, ‘এটা না বললে তো তাদের রাজনীতি থাকবে না। যে দল জনসভা ডাকলে মঞ্চে ২০ জন আর সামনে ক্যামেরা ২০টা। আর কিছু থাকে না।
কিন্তু আমরা এখন তাদের নিয়ে আলাপ করছি। সো এই যে এয়ার টাইমটা পাচ্ছে তারা, এটা তো বিশাল ব্যাপার। যে দলের দুইটা ভোট নাই, সে দল এয়ার টাইম পাচ্ছে।’
এসএন