বরিশালে বিপিএলের ম্যাচ আয়োজন করা হলে, দ্বিগুণ লাভবান হবে ক্রিকেট বোর্ড। সঙ্গে হোম ভেন্যুতে ম্যাচ, বাড়তি উন্মাদনা জোগাবে সমর্থকদের, এমনটাই মনে করেন ফরচুন বরিশালের কর্ণধার মিজানুর রহমান। এদিকে এনএসসি চাইলে সংস্কার কাজ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করা সম্ভব বলেও জানান তিনি। বিপিএলের আগে কাজ শেষ করা নিয়ে আশাবাদী স্টেডিয়ামের দায়িত্বরত কর্মকর্তা।
কীর্তনখোলা নদীর অপরূপ সৌন্দর্যের মাঝে বুক উচিয়ে নিজের অস্বতিতের জানান দিচ্ছে বরিশাল বিভাগীয় স্টেডিয়াম। এর সবুজ গালিচায় রয়েছে অনেক ক্রিকেটারের জানা অজানা গল্প। একসময় প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটসহ যুব আন্তর্জাতিক ম্যাচও অনুষ্ঠিত হয়েছে এখানে। তবে দীর্ঘদিন সবধরনের ক্রিকেট থেকে বঞ্চিত ভেন্যুটি। আন্তর্জাতিক মানের জন্য প্রস্তুত করতে সংস্কার কাজ চলছে দীর্ঘ দিন হলো। ২০২১ সালে আধুনিকায়নের কাজ শুরু করলেও এখনও তা শেষ হয়নি। বরং দফায় দফায় বাড়ানো হয়েছে মেয়াদ ও অর্থ।
আমিনুল ইসলাম বুলবুল বিসিবির দায়িত্বে আসার পর প্রাণ ফিরে পেতে যাচ্ছে বরিশালের একমাত্র ভেন্যু। আসন্ন বিপিলের সম্ভাব্য ভেন্যু হিসেবে রাখা হয়েছে বরিশালের বিভাগীয় স্টেডিয়ামটি। এতে আশায় বুক বাঁধছে বরিশালবাসী। বিপিলের ম্যাচ বরিশালে আয়োজন করা হলে হোম ভেন্যুতে খেলবে ফরচুন বরিশাল। যা বরিশাল সমর্থকদের জোগাবে বাড়তি উন্মাদনা। এই ভেন্যুতে বিপিএলের পরিকল্পনা সাজালে বিসিবি দ্বিগুণ লাভবান হবে বলে মনে করেন ফরচুন বরিশালের কর্ণধার মিজানুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘৫০ হাজার লোক যদি ভিতরে থাকে, বাইরে থাকবে ৫ লক্ষ লোক। কারণ টিকিট পাবে না, আমি নিশ্চিত। বিসিবির যতটুকু খরচ হবে, তার দ্বিগুণ আয় করতে পারবে। বরিশালে যদি দুই-চারটি ম্যাচ তারা শিফট করে। বরিশালের সমর্থকরা ক্রিকেটের জন্য পাগল। আমার ধারণা রন্ধ্রে রন্ধ্রে ক্রিকেট ঢুকে গেছে।’
ভেন্যু সংস্কারের জটিলতা থাকলেও, এনএসসি চাইলে ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করা সম্ভব বলে মনে করেন বরিশাল দলের চেয়ারম্যান।
মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমার মনে হয় না সংস্কারে এক বছর লাগবে। তিন মাস-ই যথেষ্ট। চেয়ারগুলো ছিল গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। আমি দেখলাম সেগুলো তারা লাগাচ্ছে। আমি নিশ্চিত, নভেম্বরের আগে এটা শেষ হয়ে যাবে। যদি খেলা হয়, আমরা খুবই খুশি হব। বরিশালবাসী, আমি এবং আমার দল অনেক খুশি হবে।’
এদিকে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের দাবি, দ্রুতগতিতে চলছে বরিশাল স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ। ডিসেম্বেরের মধ্যে কাজ শেষ করা নিয়ে আশাবাদী দায়িত্বরত কর্মকর্তাও।
এ বিষয়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সহকারী প্রকৌশলী সুকুমার সাহা বলেন, ‘ডিসেম্বরের মধ্যে সম্ভব যদি সব ঠিকাদার ঠিকমতো কাজ করে। বিশেষ করে মাঠটাতেই বেশি কাজ বাকি।’
শুধু বিপিএলই নয়, আধুনিকায়ন শেষে ঘরোয়া ক্রিকেটসহ আন্তর্জাতিক ম্যাচও দেখা যেতে পারে বরিশালে।
আরএম