চলচ্চিত্রের ঝলমলে আলো থেকে খানিকটা দূরে এসে, জীবনের চল্লিশে পা রাখার মুহূর্তকে এক ভিন্ন মাত্রা দিলেন কাজল আগারওয়াল। গ্ল্যামার নয়, ছিল প্রশান্তির ছোঁয়া। কৃত্রিমতার ছায়া নয়, ছিল খাঁটি মুহূর্তের উষ্ণতা। মালদ্বীপের সমুদ্রপাড়ে স্বামী গৌতম কিচলু, বোন নিশা আগারওয়াল আর পুত্র নীলকে পাশে নিয়ে জন্মদিনের এই উদযাপন ছিল এক নিঃশব্দ আনন্দের গল্প।
হাতে ককটেল, চুল উড়ছে হাওয়ায়, চোখে প্রশান্তির ছায়া—এইভাবেই দেখা গেল কাজলকে। সাদা বিকিনিতে তাঁর স্বতঃস্ফূর্ত ভঙ্গি যেন নিজেই বলছিল, ‘আলো ছাড়াও ঝলমল করা যায়।’ ক্যামেরার সামনে নয়, বরং জীবনের ঠিক মাঝখানে দাঁড়িয়ে কাজল উদযাপন করলেন নিজের অস্তিত্ব, নিজের ভালোবাসা, নিজের কৃতজ্ঞতা।
ইনস্টাগ্রামে এক আবেগঘন ক্যাপশনে তিনি লিখলেন, “ভালোবাসা আর কৃতজ্ঞতায় ভরে উঠেছি… আমার আপনজনদের মাঝে… এই আনন্দ ও উষ্ণতায় আমি স্নাত হচ্ছি।” সেই পোস্টে দেখা যায়, ছোট্ট নীলকে জড়িয়ে ধরে মায়ের চোখেমুখে এক অনন্য উজ্জ্বলতা—যা কোনো আলো বা মেকআপে ধরা পড়ে না, কেবল অনুভবে ধরা দেয়।
জন্মদিনে বিশ্রামের ছায়া থাকলেও কাজলের পেশাগত ব্যস্ততা কিন্তু থেমে নেই। সামনে রয়েছে বিশাল সব প্রজেক্ট—বিশ্নু মঞ্চুর বিপরীতে ‘কন্নাপ্পা’তে দেবী পার্বতীর চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি। কমল হাসান ও শঙ্করের সঙ্গে ‘ইন্ডিয়ান ৩’ এবং হিন্দি ছবিতে প্রত্যাবর্তন ‘দ্য ইন্ডিয়া স্টোরি’ও রয়েছে তার হাতে।
দুই দশকের বেশি সময় ধরে দক্ষিণ ভারতীয় চলচ্চিত্রে যে শক্তিশালী অবস্থান গড়ে তুলেছেন কাজল, সেই অভিজ্ঞতা আর ব্যক্তিগত জীবনের ভারসাম্য এখন যেন আরও পরিপূর্ণ হয়ে উঠছে। এবার তাঁর গল্পটা কেবল ক্যামেরার সামনে নয়, বরং ক্যামেরার বাইরেও। সেই গল্পে রয়েছে মা হওয়ার আনন্দ, স্ত্রী হয়ে ওঠার উপলব্ধি, আর নিজের মতো করে জীবনের অর্থ খুঁজে নেওয়ার সাহস।
চল্লিশ বছরে তিনি নতুন কোনো রূপে হাজির হননি, বরং নিজের মধ্যেকার গভীরতাকেই প্রকাশ করেছেন—যেখানে কাজল শুধু অভিনেত্রী নন, এক শান্ত অথচ দৃঢ় নারীর প্রতিচ্ছবি।
এসএন