যুক্তরাষ্ট্রে ফের গোয়েন্দা তথ্য ফাঁসের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ। মঙ্গলবার (২৪ জুন) রাতে ফক্স নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এই নিন্দা জানান তিনি।
যে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্র যে হামলা চালিয়েছে তাতে সীমিত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তিনি তথ্য ফাঁস করা এই সূত্রগুলোকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলে অভিহিত করেছেন।
মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার প্রাথমিক মূল্যায়ন সম্পর্কে অবহিত সাতজন ব্যক্তি সিএনএনকে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের হামলার ফলে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি মাত্র কয়েক মাস পিছিয়ে গেছে। ধ্বংস হয়নি। যদিও যুক্তরাষ্ট্র ১৪টি বিশাল বাংকার বাস্টার বোমা ফেলেছিল।
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষার উপর হামলার প্রভাব এবং স্থানগুলোর ক্ষতি সম্পর্কে মার্কিন বিশ্লেষণ চলছে এবং আরও গোয়েন্দা তথ্য পাওয়া গেলে তা পরিবর্তন হতে পারে।
মঙ্গলবার ফক্স নিউজের উপস্থাপক লরা ইনগ্রাহামের সাথে কথা বলার সময়, স্টিভ উইটকফ বলেন, ‘এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে এই ধরনের তথ্য ফাঁস হওয়া, তথ্য যাই হোক না কেন, যে সাইটেই হোক না কেন, এটি নিন্দনীয়, বিশ্বাসঘাতকতা।’
‘সুতরাং এটির তদন্ত করা উচিত এবং যেই এটি করেছে, যে এর জন্য দায়ী হোক না কেন, তাকে জবাবদিহি করতে হবে,’ উইটকফ বলেন।
এদিকে, সিএনএন-এর সাথে কথা বলতে গিয়ে, মূল্যায়নের সাথে পরিচিত দুজন ব্যক্তি বলেছেন যে, ইরানের সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের মজুদ ধ্বংস করা হয়নি।
একজন ব্যক্তি বলেছেন, সেন্ট্রিফিউজগুলো মূলত অক্ষত। আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, মার্কিন হামলার আগে, সমীক্ষায় দেখা গেছে যে সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম ওই স্থান থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছিল।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংস হয়নি সংক্রান্ত প্রতিবেদনকে ভুয়া খবর বলে উড়িয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প।
কেএন/এসএন